জুমবাংলা ডেস্ক : পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশ শুধু নয়, এপার বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহের অন্ত নেই। স্বপ্নের এই সেতু নির্মাণে কেনো বিশ্বের অন্যান্য সেতুর তুলনায় বেশি অর্থ খরচ হয়েছে, তা নিয়ে আগ্রহ সকলের। আর সেই সূত্রেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। জানা গিয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি সিমেন্ট।
পৃথিবীর গভীরতম পাইলের সেতু এই পদ্মা সেতু। পদ্মা নদীর তলায় নরম ও স্রোতের তোড়ে সরে যাওয়ার মতো মাটির পরিমাণ বেশি। এই ধরণের মাটির উপর এতো ভারী একটি কাঠামোকে দৃঢ়ভাবে দাঁড় করানো ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে ছিল বড় একটি চ্যালেঞ্জ। তাই এই সেতুর পিলারের পাইলিং করা ছিল অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের (মূল সেতু) নির্বাহী পরিচালক দেওয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, প্রতিটি পিলারের ব্যাস বিশাল। ১০ ফুট। অর্থাৎ একটি বিশাল ঘরের সমান। প্রতিটি পিলারের নিচে ৬টা থেকে ৭টা বড় বড় পাইল রয়েছে। পদ্মা সেতুতে মোট ৭১টি পিলার নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে দামি দামি বিদেশি সিমেন্ট।
কারণ পদ্মার তলদেশের মাটির কণা আর বাংলাদেশে সাধারণ যে সিমেন্টের যে কণা তা দিয়ে পিলারের গ্রাউটিং সম্ভব ছিল না। তাই প্রতিটি পিলারে ব্যবহৃত হয়েছে মাইক্রো ফাইন সিমেন্ট। যা অস্ট্রেলিয়ে থেকে আমদানি করা হয়েছে। মাইক্রো ফাইন সিমেন্টকে বলা হয় অত্যন্ত মিহি সিমেন্ট।
সাধারণ সিমেন্ট থেকে অনেক মিহি এবং অনেকটাই দামি এই সিমেন্ট। বাংলাদেশে সবচেয়ে দামি ৫০ কেজির প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের দাম ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। আর পদ্মা সেতুর পিলারে ব্যবহৃত মাইক্রো ফাইন সিমেন্টের প্রতি ব্যাগের দাম পড়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। পদ্মা সেতুর প্রতিটি পিলারের নিচে রয়েছে ৬ থেকে ৭টা বড় বড় পাইল। সব মিলিয়ে একেকটা পিলার প্রায় একেকটা ঘরের সমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।