জুমবাংলা ডেস্ক: পদ্মা পার হতে ফেরির তুলনায় সেতুতে টোল বেশি হলেও সুবিধা বিবেচনায় তা বেশি নয় বলে মত সরকার, বিশ্লেষক, পরিবহণ ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের। তারা বলেন, ফেরি পার হতে যে ভোগান্তি, সময় ও অর্থ ব্যয় হতো সে হিসাবে সেতু পারাপারে যে টোল ঠিক করা হয়েছে তা ঠিকই আছে।
আগামী ২৫শে জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পরপরই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেই লক্ষ্যে, আগেভাগেই ঠিক করা হয়েছে টোল হার। আর তা অনেক বেশি বলে অনেকেই সমালোচনার চেষ্টা করছেন। তবে এই টোল বেশি নয় বলে মনে করছেন সাধারণ যাত্রী ও পদ্মা পারের লোকজন।
পদ্মা সেতুর ফলে ঢাকার সাথে দক্ষিণের যেসব জেলা সরাসরি সংযুক্ত হতে যাচ্ছে সেসব রুটের পরিবহণ ব্যবসায়ীরাও বলছেন, এই টোল বেশি নয়।
এখন ঘাটে অপেক্ষা করাসহ ফেরিতে পদ্মা পার হতে সময় লাগে তিন থেকে চার ঘণ্টা। যানবাহনের চাপ বাড়লে বা ঈদের মৌসুমে দিন রাতও অপেক্ষায় থাকতে হয় নদী পার হতে। সেতু চালু হলে, ১০ মিনিটেরও কম সময়ে পার হওয়া যাবে এই পদ্মা নদী। ফলে বাচবে সময়, আর মুক্তি মিলবে অবর্ণনীয় ভোগান্তি থেকে।
নানা বিষয় বিচেনায় পদ্মা সেতুর টোলের হার সহনশীলই বলতে হবে, মনে করেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ট্রাভোল টাইম কস্ট আছে একটা। ঢাকা কুমিল্লার একটা গাড়ি যখন ফ্রি ছিল তখন দুই টিপ দিত। আর এখন সেতু হবার পর সে তিন থেকে চার টিপ দিবে।
পরিবহণ বিশ্লেষকদের মতেও পদ্মা সেতুতে নির্ধারিত টোল অতিরিক্ত নয়।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, ‘লজিক্যাল টোল ফ্রেমওয়ার্ক দিয়েছে বিবিএ। ফেরির সঙ্গে, বঙ্গবন্ধু সেতুর তুলনা করে টোল বেশি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু কৌশলী টোল হওয়ার জন্য আরও বেশি দূরদর্শী হওয়া উচিৎ ছিল বলে আমি মনে করি।’
বাংলাদেশে একমাত্র পদ্মা সেতুতেই যানবাহন পারাপারের এই টোল আদায় করা হবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। তাই টোল দিতেও থামতে হবে না কোন যানবাহনকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।