জুমবাংলা ডেস্ক: উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মা সেতু নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু। দলের অনেক নেতাকর্মী তার এমন স্ট্যাটাসে সমালোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন (১৯ মে) বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে সেতু থেকে ফেলে দেওয়া কথা বলেছিলেন, ঠিক ওইদিন রাত ৭টা ৩৯ মিনিটে মঞ্জু পদ্মা সেতু নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেন।
নজরুল ইসলাম মঞ্জুর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলো ধরা হলো- ‘এক মাস সাত দিন পর হারিয়ে যাবে আমাদের চিরচেনা পথের অনেক কিছু। স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মা নদী পারাপারের মাওয়া-কাঁঠালবাড়ী ঘাট। উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ২৬ জুন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশার পদ্মা ব্রিজ।
এরপর মানুষের স্মৃতিতে থাকবে মাওয়া-কাঁঠালবাড়ী ফেরি লঞ্চ ও স্পিডবোটে পারাপারের ৩০ বছরের স্মৃতি। গল্প হয়ে থাকবে আমাদের দুঃখ-সুখ বেদনার ও তিক্ত অভিজ্ঞতার নানান কাহিনি। ঘুরে ফিরে আসবে আমাদের সামনে এবং আমরা বলব আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ওই তো ওখান দিয়েই আমরা পার হতাম প্রমত্তা পদ্মা নদী। শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা কখনও ঘন কুয়াশা কখনও প্রচণ্ড খরতাপে কখনও ঝড়বৃষ্টিস্নাত রাতে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার হলেও একটা অ্যাডভেঞ্চার ছিল, যাত্রায় গরম গরম ডিম-পরোটা, সিদ্ধ ডিম, ঝালমুড়ি, চা গরম, ফেরিঘাটে অথবা লঞ্চে ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খাওয়া সব হারিয়ে যাবে এই ভেবে আজ পদ্মা পার হওয়ার সময় মনটা মাঝে মাঝে খারাপ লাগছিল।
তার পরও ভাবনায় আসে আমাদের পদ্মা ব্রিজ, এক্সপ্রেসওয়ে ও ভাঙ্গা ফ্লাইওভার প্রাপ্তিতে আমরা সৌভাগ্যবান। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা, আল্লাহ মহান।’
এদিকে তার এই স্ট্যাটাসের নিচে দলের অনেকেই ক্ষোভ ও সমালোচনা করে মন্তব্য করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা শেখ তানভীর বারী হামিম লিখেছেন, আপনি মঞ্জু হওয়ার পেছনে যে নেত্রীর (খালেদা জিয়া) সবচেয়ে বেশি অবদান, তাকে নিয়ে দুদিন আগে কটূক্তি করলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই পদ্মা সেতুর জন্য সৌভাগ্যের কথা প্রকাশ করলেন! এই প্রজেক্ট তো চুরির কল্পকথা পদ্মা সেতু হওয়াই ভালো হয়েছে অবশ্যই। তবে যে মহাচুরি হয়েছে সেটি পরবর্তী পোস্টে তুলে ধরবেন বলে আশা করি। একজন রাজনীতিবিদের কাছে বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে এটা দাবি থাকল।
বিপ্লব খান নামে একজন লিখেছেন, আমার নানা মাঝে মাঝে গল্প করে বলতেন- মঞ্জু ভাইয়ের পূর্ব পুরুষরা এবং বর্তমানে অনেকেই মাদারীপুরে আওয়ামী লীগ করতেন বা করেন। পদ আর নির্বাচন ছোট-বড় সবার চরিত্র নষ্ট করে দেয়।
যদিও অনেকেই নজরুল ইসলাম মঞ্জুর এমন স্ট্যাটাসে তার প্রশংসা করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে আপত্তি তোলায় নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।