জুমবাংলা ডেস্ক: উদ্বোধনের অপেক্ষায় বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। চলতি বছরের জুন মাসের শেষ সপ্তাহে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বহু প্রতীক্ষিত এই সেতু উদ্বোধনের জন্য সারসংক্ষেপ ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে পদ্মাসেতু। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহের আগে আমরা পদ্মাসেতু খুলে দেব।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করবেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্প বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে সবচেয়ে বড় প্রকল্প। অবকাঠামোগত দিক দিয়েও বৃহত্তম প্রকল্প এটি।
২০০৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠকে ১০ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি বাজেটে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। এরপর দুই দফা সংশোধন হয়ে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার বাজেটে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর সম্পূর্ণ নকশা এইসিওএমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত একটি দল তৈরি করে।
বাংলাদেশের প্রথম বৃহৎ সেতু প্রকল্প যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি করা হয়। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে ১১ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সভাপতি নিযুক্ত করা হয়।
প্রস্তাবিত পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে দেশের কেন্দ্রের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সরাসরি সংযোগ তৈরি করবে। এই সেতুটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে।
প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪৪,০০০ বর্গ কিঃমিঃ (১৭,০০০ বর্গ মাইল) বা বাংলাদেশের মোট এলাকার ২৯% অঞ্চলজুড়ে ৩ কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। ফলে প্রকল্পটি দেশের পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
সেতুটিতে ভবিষ্যতে রেল, গ্যাস, বৈদ্যুতিক লাইন এবং ফাইবার অপটিক কেবল সম্প্রসারণের ব্যবস্থা রয়েছে। এই সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
পদ্মা সেতুকে বাংলাদেশে অনেকে ‘স্বপ্নের সেতু’ বলে বর্ণনা করছেন। বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের
স্বপ্ন পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন। পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হলে খুলনা, বরিশাল সহ পুরো দক্ষিনবঙ্গের সাথে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে । মূল সেতুটি দোতলা হবে ।
পদ্মা নদীর উপর নির্মিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন আর নিচে দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। এশিয়ান হাইওয়ের পথ হিসেবেও সেতুটি ব্যবহৃত হবে। লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ এর সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে, ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।