জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দান সিন্দুক থেকে তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার (০২ জুলাই) কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শনিবার সকাল ৯টায় মসজিদের দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়। এবার তিন মাস ২০ দিন পর খোলা হয় সিন্দুকগুলো।
এর আগে সর্বশেষ গত ১২ মার্চ দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।
এবার টাকা গণনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা-আইসিটি) মো. গোলাম মোস্তফা, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে এলাহী, শফিকুল ইসলাম, উবায়দুর রহমান সাহেল, মাহবুব হাসান, সিরাজুল ইসলাম, সুশান্ত সিংহ, নাবিলা ফেরদৌস, ফাতেমা তুজ জোহরা, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুকগুলো খুলে দানের টাকাগুলো প্রথমে ১৬টি বস্তায় ভরে আনা হয় গণনার জন্য।
বিকেল ৬টার দিকে টাকা গণনার কাজ শেষ হয়। দানের এসব অর্থ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম সাংবাদিকদের জানান, দানবাক্স থেকে প্রাপ্ত অর্থের লভ্যাংশের একটি বিশেষ অংশ দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত দুস্থ ও এতিম লোকজনের চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়। এছাড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় সহায়তার পাশাপাশি অন্যান্য মসজিদ-মাদরাসার উন্নয়নেও অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।