জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতের মতো দেশে আকর্ষণীয় জিনিসের অভাব নেই। এখানে যেমন তাজমহলের মত বিশ্বের আশ্চর্য দর্শনীয় নিদর্শন রয়েছে ঠিক তেমনি আবার কোনায় কোনায় রয়েছে আকর্ষণীয় নানান দেখার জিনিস। দিন কয়েক ধরেই সেই রকমই একটি জলপ্রপাতের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সবুজ পাহাড় বেয়ে নামছে দুধ সাদা জল আর তার পাশেই ছুটে চলেছে ট্রেন। এই দৃশ্য দেখে অনেকের কাছেই তা ভুল হতে পারে ইউরোপীয় কোন জায়গার দৃশ্য ভেবে। যদিও এই দৃশ্য ইউরোপ অথবা আফ্রিকার মত কোন দেশের নয়, এই দৃশ্য ভারতের। ভারতে এমন অভূতপূর্ব দৃশ্যের দেখা মিলবে গোয়ায়।
বর্ষাকালে ভারতের যে সকল ডেস্টিনেশনগুলি মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো গোয়া। গোয়ায় অজস্র দেখার জায়গা থাকার পাশাপাশি দেখা মেলে এই দুধ সাদা জলপ্রপাতের। এই জলপ্রপাতের পাশ দিয়েই চলে গেছে রেল ব্রিজ এবং সেখানে দিয়ে ট্রেন যাতায়াত করে। পর্যটকদের একাংশ এই জলপ্রপাত দেখতেই এই রুটের ট্রেনে চেপে পড়েন। গোয়ার এই অপরূপ দৃশ্যের জলপ্রপাতটির নাম হল দুধ সাগর জলপ্রপাত।
দুধ সাগর এই জলপ্রপাত অবস্থিত গোয়া ও কর্ণাটক সীমান্তে। উচ্চতার দিক দিয়ে বিচার করলে এটি ভারতের পঞ্চম উচ্চতম স্থানে অবস্থিত। ইন্টারনেটে এই জলপ্রপাত দুধ সাগর নামে পরিচিত হলেও ‘সি অফ মিল্ক’ নামেই পরিচিত এই জলপ্রপাত। এই জলপ্রপাতের পিছনে আবার কথিত কাহিনীও জড়িয়ে রয়েছে।
কথিত কাহিনী অনুযায়ী, যেখানে এই জলপ্রপাত রয়েছে সেই জায়গায় আগে ছিল রাজপ্রাসাদ। ওই রাজপ্রাসাদের সরোবরের রাজকুমারী স্নান করে সোনার পাত্রে দুধ পান করতেন। তবে সেই কথিত কাহিনীকে মান্যতা দেয় না বিজ্ঞান। জলপ্রপাতের স্বচ্ছতার জন্য এটি দুধসাগর। পাহাড়ি নদীর জল পাথরের ধাক্কা খেতে খেতে নেমে আসে। এর ফলে তৈরি ফেনা। যার জন্য এই জলপ্রপাত দেখতে লাগে দুধের মতো সাদা।
অ্যামাজন নদীর রাক্ষুসে মাছ ধরা পড়ল গঙ্গায়, চিন্তায় ভারতীয় বিজ্ঞানীরা
এই মনোরম জলপ্রপাত দেখার জন্য এখানে ট্রেন থামতে দেখা যায়। যদিও এখানে কোন রেলস্টেশন নেই। পুনে কিংবা বেলগাঁও থেকে পূর্না এক্সপ্রেস রওনা দেয় দুধসাগরের উদ্দেশ্যে। প্রতি শনিবার ও রবিবার এই ট্রেনটি ছাড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।