জুমবাংলা ডেস্ক : কিছু কিছু ছবিতে দেখতে পাবেন, এই ধরনের সুবজ সাপগুলি এক গাছ থেকে আর একটিতে উড়ে যাচ্ছে। আর তখন তাদের শরীরের ৮০-৯০ শতাংশ বাতাসে থাকে। সেই কারণেই এদের ‘উড়ন্ত সাপ’ও বলা হয়। তবে এই সাপগুলি কিন্তু উড়তে পারে না।
এক্কেবারে গাছের পাতার মতো দেখতে সবুজ সাপ আপনি দেখেছেন বা তাদের বিষয়ে শুনেছেন কখনও। অনেকে আবার বলেন, এই ধরনের সাপ উড়তেও পারে। আজকাল সুবজ এই সাপগুলির অনেক ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে। খালি চোখে এদের দেখতে পাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। কারণ, গাছের সবুজ পাতায় বা মাটিতে ঘাসের সঙ্গে মিশে হারিয়ে যায় এরা। গুগলে গিয়ে যদি আপনি গ্রিন স্নেক লিখে সার্চ করেন, তাহলে অনেক ছবি দেখতে পাবেন। আবার কিছু ইউটিউব ভিডিয়োও দেখতে পাবেন। কিছু কিছু ছবিতে দেখতে পাবেন, এই ধরনের সুবজ সাপগুলি এক গাছ থেকে আর একটিতে উড়ে যাচ্ছে। আর তখন তাদের শরীরের 80-90 শতাংশ বাতাসে থাকে। সেই কারণেই এদের ‘উড়ন্ত সাপ’ও বলা হয়। তবে এই সাপগুলি কিন্তু উড়তে পারে না।
তারা কেবল এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফ দেয়। তারা শরীরকে এমনভাবে মোচড় দেয় যে, তাদের শরীর উপরে-নিচে করার আকারে আসে এবং তারা বাতাসে লাফ দিতে সক্ষম হয়। সবুজ রঙের এই সাপগুলো কম বিষাক্ত। সাধারণত এরা মাছ, ব্যাঙ, পাখি ও বাদুড় খায়। ভারত, চিন, শ্রীলঙ্কা সহ আশপাশের অনেক দেশেই এই ধরনের সাপ পাওয়া যায়। এরা গাছের কাণ্ড বা পুরু ডালে বাস করতে পছন্দ করে না। সাধারণত গাছের উপরের দিকেই বসে এরা।
তাদের শরীরের গঠন এমন, যে তারা সহজেই নিজেদের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। যখন তাদের অন্য গাছে যেতে হয়, তখন তারা লাফিয়ে সেই গাছের চূড়ায় পৌঁছায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাফানোর পর তারা মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত শরীরকে চ্যাপ্টা করে। এরপর এগুলো বেশ চওড়া হয়ে যায়। এখন আপনার মনে একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে, সাপ কীভাবে লাফ দিতে পারে এবং না উড়েও এক গাছ থেকে অন্য গাছে কীভাবেই বা লাফায় তারা?
সাপের পা নেই। তাই তারা তাদের পেশি এবং ত্বক ব্যবহার করে হাঁটে। এরা চারটি উপায়ে কাজ করে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল ঢেউয়ের আকারে সোজা হয়ে হাঁটার স্টাইল এবং শরীরকে সামান্য তুলে নেওয়া। এই সাপের পাঁচটি প্রজাতি রয়েছে এবং তারা সবই ক্রিসোপেলিয়ার অন্তর্গত।
বলা হয়, এই সাপগুলো ১০ থেকে ১২ ফুট লাফ দিতে পারে। তাদের পালানোর গতি খুব দ্রুত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব সময় গাছে ও পাতার মাঝে থাকার কারণে এদের রং সবুজ হয়। তবে উড়ন্ত সাপ কালো এবং গাঢ় ধূসর রঙেরও হতে পারে। এরা ভীতু ও লাজুক প্রকৃতির হয়। মানুষকে দেখে ঘাবড়ে যায়, তাই তারা দ্রুত লাফিয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।