আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন, ভারত এবং পাকিস্তান সহ নয়টি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ তাদের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের আধুনিকীকরণ অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ ২০২৩ সালে নতুনভাবে পারমাণবিক-সক্ষম অস্ত্র ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠা করেছে।
সোমবার (১৭ জুন) সুইডিশ থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
এসআইপিআরআই জানিয়েছে, চীনের পারমাণবিক অস্ত্রাগারে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪১০টি ওয়ারহেড ছিল। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০টিতে। এটি বাড়তে থাকবে বলে আশা করছে দেশটি। এছাড়া প্রথমবারের মতো উচ্চ অপারেশনাল সতর্কতায় চীনের কিছু ওয়ারহেড রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসআইপিআরআই বলেছে, নয়টি পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র -যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েল। তারা তাদের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের আধুনিকীকরণ অব্যাহত রেখেছে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি নতুন পারমাণবিক অস্ত্র বা পারমাণবিক অস্ত্রে সক্ষম অস্ত্র মোতায়েন করেছে।
থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের মতে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সব ধরনের পারমাণবিক অস্ত্রের প্রায় ৯০ শতাংশ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বছরের জানুয়ারিতে ভারতের সঞ্চিত পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা ছিল ১৭২। যেখানে পাকিস্তানের পাকিস্তানের সংখ্যা ছিল ১৭০।
ভারত ২০২৩ সালে তার পারমাণবিক অস্ত্রাগারকে কিছুটা প্রসারিত করেছে। ভারত-পাকিস্তান উভয়ই ২০২৩ সালে নতুন ধরনের পারমাণবিক সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও পাকিস্তান ভারতের পারমাণবিক প্রতিরোধের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে এখন ভারত চীনজুড়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম এমন অস্ত্রসহ দূরপাল্লার অস্ত্রের ওপর জোর দিচ্ছে।
রিলিজ হল সবচেয়ে সাহসী ওয়েব সিরিজ, ভুল করেও কারও সামনে দেখবেন না
এদিকে, চীনের পারমাণবিক ওয়ারহেডের মজুদ এখনও রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেকটাই কম বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।