পাকিস্তানের প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীকে নিয়ে তুমুল সমালোচনা

মিস ইউনিভার্স

বিনোদন ডেস্ক : বিশ্ব সুন্দরীদের আসর ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় নাম লেখানোয় তুমুল সমালোচিত হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রথম প্রতিযোগী! বিশ্বমঞ্চে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার আগেই তুমুল কটাক্ষের মুখে তিনি।

মিস ইউনিভার্স

বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ বছর বয়সী এরিকা রবিন ‘মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান’-এর খেতাব জেতেন। তারপরই তিনি আগামী মাসে এল স্যালভাডোরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় মূল পর্বে নাম লেখান। তারপরই শুরু হয় সমালোচনা।

এরিকা রবিন করাচির বাসিন্দা। তিনি পাঁচ প্রতিযোগীর মধ্যে ‘মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান’ হিসেবে বিবেচিত হন। গত মাসে মালদ্বীপে এই অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানেই তিনি হিরা ইনাম, জেসিকা উইলসন, মালিকা আলভি এবং সাবরিনা ওয়াসিমকে হারিয়ে বিজয়ী হন।

বিশ্বমঞ্চে এমন একটা প্রতিযোগিতায় এরিকা নাম দেওয়ায় খুশি নন অনেকেই। পাকিস্তানের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, নেতারা তার সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এমন একটি অনুষ্ঠানে নাম দেওয়াটাই পাকিস্তানের অপমান। অনেকে আবার বলেছেন, এমন আন্তর্জাতিক একটি প্রতিযোগিতায় নাকি দেশের অনুমতি ছাড়াই নাম দিয়েছেন এরিকা।

মিস ইউনিভার্সে এরিকার এই নাম দেওয়াকে জামাতে ইসলামি পার্টির নেতা তথা সেনেটর মুস্তাক আহমেদ ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি টুইটারে ক্ষোভ উগরে লেখেন, ‘পাকিস্তানে এই বিউটি পেজেন্টের আয়োজন করল কারা?’

আনোয়ার উল হক কাকার আবার তাদের দেশের ইন্টিলিজেন্স এজেন্সিকে বলেছেন খোঁজ নিতে যে, কারা দেশের অনুমতি ছাড়াই দেশে এমন একটা ইভেন্টের আয়োজন করল? তিনি একই সঙ্গে এই ঘটনাকে পাকিস্তানি মহিলাদের অপমান বলেও উল্লেখ করেছেন।

পাকিস্তান সরকারের অনুমতি ছাড়া কী করে ‘মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান’ ইভেন্ট আয়োজিত হল আর সেখানে কী করেই বা পাঁচ পাকিস্তানি মহিলা নাম দিল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা। দেশের অনুমতি ছাড়া এভাবে ‘মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা’য় নাম দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা।

পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে মুর্তাজা সোলাঙ্গী লেখেন, ‘আমাদের সরকার কোনো বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তিকে এমন কোনো কাজের দায়ভার দেয়নি। এমন কোনো কাজে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন দেশ বা সরকারের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না।’

ছবিটি জুম করে দেখুন, বলতে পারবেন কে দাঁড়িয়ে আছে এবং কে বসে?

মিস ইউনিভার্সের ৭২ বছরের ইতিহাসে এতদিন পাকিস্তান কখনো কোনো প্রতিযোগীকে পাঠায়নি। অনেকের মতে, এরিকার এই অংশগ্রহণ আদতে সেই দেশের মূল্যবোধ বিরোধী। যদিও এসবকে মোটেই পাত্তা দিতে আগ্রহী নন এরিকা। তিনি এই প্রতিযোগিতায় নাম দেবেন বলে বদ্ধপরিকর।

Previous Article

বয়সভেদে নারীদের শারীরিক চাহিদার তারতম্য, জানা গেল সমীক্ষায়

Next Article

বয়স ত্রিশ হলে মেয়েদের যা করতে ইচ্ছা করে