আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। নানা ঘটনার উত্থান আর পতনের পর নতুন সরকার গঠন হতে চলেছে দেশটিতে। সরকারে বসছে নওয়াজ শরিফ নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এন ও বিলওয়াল ভুট্টো নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) কয়েকটি দলের জোট। আর নতুন এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ শরিফ।
তবে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে শপথ পাঠ করাবেন না। ফলে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন জটিলতা শুরু হলো আবারও। ধারণা করা হচ্ছে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগেই দেশটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে যেতে পারে। ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্র আরিফ আলভির উত্তরসূরি হিসেবে নতুন প্রেসিডেন্টই শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে পারেন।
এর আগেও ২০২২ সালে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করে নতুন জোট সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হন পিএমএল-এনের শাহবাজ শরিফ। স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে তখনও শাহাবাজকে শপথবাক্য পড়াননি আলভি।
জিও নিউজ জানায়, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এর তিন দিন পর নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন ডাকার সময়সীমা রয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ জানায়, সিনেটের ৫৩ সদস্যের নির্বাচন, চেয়ারম্যান/ডেপুটি চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৮ মার্চের আগে আয়োজন করতে হবে। ফলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের সময়সীমা সীমিত।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যদি এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়, তাহলে আরিফ আলভি নয়, নতুন প্রেসিডেন্ট পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ইমরানের দল পিটিআই ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট পদে আলভিকে মনোনয়ন দেয়। এরপর একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের ১৩তম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন আলভি। ২০২২ সালে সংসদে অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরানের পিটিআই বিদায় নেয়। তবে দল বিদায় নিলেও প্রেসিডেন্ট পদে থেকে যান আলভি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।