পাকিস্তনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়ায় ভারি বৃষ্টিপাতে কমপক্ষে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজাউর, লোয়ার দির এবং বাট্টাগ্রাম জেলায় বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুনের শেষের দিক থেকে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশজুড়ে বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়ায় ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধস হয়েছে। এ ঘটনায় হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ডন বলছে, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) থেকে প্রকাশিত সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে আকস্মিক বন্যা এবং ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ১৪২ শিশুসহ কমপক্ষে ৩২৫ জন মারা গেছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন ৭৪৩ জন।
রেসকিউ ১১২২ (জরুরি পরিষেবা সংস্থা) এর মুখপাত্র বিলাল আহমেদ ফৈজি দ্য ডনকে বলেন, বাজাউরের সালারজাই তহসিলের জাবররাই গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বেশ কয়েকজন হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্ধারকারী দল বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত ১৬টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া ধ্বংসস্তূপ ও বৃষ্টির পানি থেকে তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা ও ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফৈজি বলেন, বাজাউর জেলা জরুরি কর্মকর্তা আমজাদ খানের তত্ত্বাবধানে নিখোঁজদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
জরুরি পরিষেবা কর্মকর্তা আরও জানান, জেলা প্রশাসক আমজাদ খান এবং স্টেশন হাউস অফিসার ব্যক্তিগতভাবে উদ্ধার অভিযান তদারকি করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।