স্পোর্টস ডেস্ক : গত এক যুগে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি। তবে আইসিসির ইভেন্টগুলোতে দুই দলের দেখা হত নিয়মিত। এখন সেটাও অনিশ্চিত হয়ে গেছে। আইসিসির পরবর্তী বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হবে পাকিস্তানে। কিন্তু ভারত কোনোভাবেই পাকিস্তানে যেতে রাজি নয়।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য ঝুলে গেছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এই ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসে আইসিসি। কিন্তু সেখানে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশের বোর্ড। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ফের ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাদের।
আর এই পুরো পরিস্থিতির জন্য ভারতের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার কামরান আকমল। ভারতের আচরণকে দ্বিচারিতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
কারণ বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট খেলতে ২০১৬ এবং ২০২৩ সালে ভারত সফর করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারত এই ইস্যুতে ‘গোঁয়ার্তুমি’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কামরান। সংবাদমাধ্যম টেলিকম এশিয়া স্পোর্টের সঙ্গে আলাপে এই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই হতাশ যে পাকিস্তান ভারতে ২০১৬ বিশ্বকাপ খেলেছে, অথচ তাদের ম্যাচ ধর্মশালা থেকে কলকাতায় সরিয়ে নেওয়া হয়। গত বছরও একইভাবে তাদের চাওয়ামতো আহমেদাবাদে খেলেছে। এই পরিস্থিতি বদলাতে পাকিস্তানের কঠোর হওয়া উচিৎ। যা পাকিস্তানেরও ভালো ইমেজ তৈরি করবে।’
আজকের বৈঠকে আইসিসিকে শুধু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য কোনো সাময়িক সিদ্ধান্ত নয়, বরং স্থায়ী সমাধানের ইঙ্গিত দিয়ে কামরান বলেছেন, ‘আইসিসি সাময়িকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, আমি মনে করি স্থায়ী সমাধানের এখনই সময়। যদি এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে যায় এবং ভারত পাকিস্তানে খেলতে না আসে, তাহলে ভারতের সকল আইসিসি ইভেন্টই একই মডেলে আয়োজন করতে হবে। তাহলে পাকিস্তান আর ভারতে খেলতে যাবে না। এমনকি দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলা পর্যন্ত আইসিসি কোনো ইন্দো-পাক ম্যাচ না রাখাটাও একটা সমাধান হতে পারে। যদি তারা দ্বিপাক্ষিক ম্যাচে সম্মতি দেয়, তবে কয়েক-জাতি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যাবে।’
এরপর ভারত দ্বিচারিতা করছে উল্লেখ করে তীব্র ক্ষোভ ঝাড়েন পাকিস্তানের হয়ে ২৬৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই তারকা, ‘একদিকে রাজনৈতিক ইস্যুর কথা বলে পাকিস্তানে খেলতে রাজি নয় ভারত, আবার অন্যদিকে তারা চায় আমরা যেন তাদের মাটিতে গিয়ে খেলি, এটা তাদের দ্বিচারি মনোভাব (ডাবল স্ট্যান্ডার্ড)।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।