আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করায় ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে পাকিস্তানি হিন্দু সম্প্রদায়। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তানকে জড়িয়ে ভারত সরকারের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছেন। খবর ডনের।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীরা ২৬ জন বেসামরিক নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে। যাদের বেশিরভাগই ছিল পর্যটক। তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে। এ ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে। ইসলামাবাদ সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’র আহ্বান জানিয়েছে।
কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতির বদলে ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। ভারত দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে। পাকিস্তানও কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি থেকের বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। উভয় দেশ একে অপরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। যা যে কোনো মুহূর্তে বড় সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটায় ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে এই অঞ্চলে বসবাসরত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে স্লোগানের পাশাপাশি তারা কাশ্মীর হামলা নিয়ে নয়াদিল্লির অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানান। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সঞ্জয় কুমার নামে এক আইনপ্রণেতা। তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির সংখ্যালঘু প্রতিনিধি এবং বেলুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য।
বিক্ষোভকারীরা কোয়েটার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন। সেখানে সমাবেশে সঞ্জয় কুমার বলেন, পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর পাশে আছে। যদি ভারত পাকিস্তানের ওপর হামলার সাহস করে, তবে পাকিস্তানের এক কোটির বেশি হিন্দু সেনাদের পাশে দাঁড়াবে।
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে কয়েকজন নারীও ছিলেন যারা ভারতের কর্মকাণ্ড এবং বক্তব্যের সমালোচনা করেন। তারা ভারতের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন। বক্তারা বলেন, ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিমলা চুক্তি ভারত একতরফাভাবে বাতিল করতে পারে না। এর জন্য অন্য পক্ষগুলোর সম্মতি লাগবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।