আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনে অবস্থিত বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রথম কিবলা ‘মসজিদুল আকসা’। আর আল-আকসার শহর হচ্ছে ‘আল-কুদস’ (জেরুসালেম)। এজন্য প্রতিটি মুসলিম হৃদয়ে আল-আকসা ও আল-কুদসের প্রতি অনেক ভালোবাসা।
সম্প্রতি মসজিদুল আকসাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনের ওপর বর্বর হামলা চালাচ্ছে দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। এতে প্রতিটি মুসলিমের অন্তরেই অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে তারা দুঃখ প্রকাশ করছেন ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের প্রতি, আর তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছেন নানাভাবে।
সেই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ বাংলা ভাষায় অসাধারণ একটি সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন দেশের জনপ্রিয় ও জাদুকরি তিন শিল্পী আবু্ উবায়দা, শেখ এনাম ও মোহাম্মদ হুজাইফা। ‘দ্রোহের ফিলিস্তিন’ শিরোনামের ওই সঙ্গীতটি এরই মধ্যে হাজারও মানুষের মন ছুঁয়েছে।
একটি প্রতিবাদী সঙ্গীতে যা যা থাকা দরকার, তার সবটুকু এর মধ্যে ঢেলে দিয়েছেন লেখক সাইয়েদ তানভীর এনায়েত। আর অত্যন্ত ভাবাবেগের সাথে সঙ্গীতটি পরিবেশন করেছেন আবু ওবায়দাসহ তার দলের সদস্যরা। সঙ্গীতে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দ আবু উবায়দার কণ্ঠ থেকে যেন ‘শব্দবোমা’ হয়ে বের হচ্ছিল।
এ প্রসঙ্গে নয়া দিগন্তকে আবু উবায়দা বলেন, ‘আসলে ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেরা দীর্ঘ দিন ধরে ইসরাইলের বর্বরতার শিকার। কিন্তু আমরা তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। তাই ভাবলাম- অন্তত নিজের যে প্রতিভাটা আছে, সেটার মাধ্যমে অন্তত তাদের পাশে দাঁড়াই। সেই দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা থেকেই সঙ্গীতটি মনের খুব ভেতর থেকে গেয়েছি।’ লেখক সাইয়েদ তানভীর এনায়েতও এই চিন্তা থেকেই সঙ্গীতটি লিখেছেন বলে জানিয়েছেন আবু উবায়দা।
তিনি আরো বলেছেন, আমরা মূলত ইস্যুভিত্তিক সঙ্গীত করি না, কিন্তু এটা খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে করেছি এবং হৃদয়ের গভীর থেকে করেছি। এজন্য মনে হয়- স্বল্প সময়ের আমাদের এই মেহনতকে মানুষ খুব সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছে। আমরা ইতোপূর্বে কোনো সঙ্গীতে এরকম ব্যাপক সাড়া পাইনি।
উল্লেখ্য, সঙ্গীতে উপরোল্লিখিত তিন শিল্পীর পাশাপাশি আরো কণ্ঠ দিয়েছেন রাইহান সিদ্দিকী, আবির মোহাম্মদ রোহান, মাজহারুল ইসলাম, আরিফিন সাঈদ, সালমান ফারাবি ও আব্দুল্লাহ আবু সায়েম। সুর করেছেন আবু উবায়দা নিজে। সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন মারুফ মোহাম্মদ জিসান এবং পরিচালনায় আবু হুরাইরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।