আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্রান্স যখন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, তার দু’দিন পর ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, এখনই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া “বিপরীতপ্রসূ” (counterproductive) হতে পারে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ঘোষণাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে “অপ্রয়োজনীয়” উল্লেখ করে বলেন, এই সিদ্ধান্তের কোনো বাস্তব প্রভাব সংঘাতের ওপর পড়বে না।
মেলোনির মন্তব্য ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে ঘিরে ভিন্নমতের বিষয়টি সামনে এনেছে। উল্লেখ্য, গত বছর স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
ইতালির দৈনিক ‘লা রেপুবলিকা’কে মেলোনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, বাস্তবে কোনো রাষ্ট্র গঠিত না হওয়া পর্যন্ত কেবল স্বীকৃতি প্রদান করা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতা ডেকে আনতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি এমন কিছু—যা বাস্তবে নেই, যেমন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র—কে কেবল কাগজে কলমে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাহলে সমস্যাটি সমাধান হয়ে গেছে বলে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হতে পারে, অথচ বাস্তবে কিছুই বদলায় না।”
ফ্রান্সের এই ঘোষণা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম পশ্চিমা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ও প্রথম জি-৭ দেশ হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে গেল।
এই ঐতিহাসিক (তবে প্রত্যাশিত) ঘোষণার পরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারও বলেন, টেকসই শান্তির জন্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় দেশগুলোর অধিকাংশ এখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে অনিচ্ছুক, যদিও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ইতোমধ্যে এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
সূত্র: সিএনএন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।