পরিবারের জন্য খাবার খুঁজতে গিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর গুলি খেয়েছে গাজার এক কিশোর। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত একটি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে গিয়ে এই ঘটনার শিকার হয় ১৫ বছরের আব্দুল রাহমান আবু জাজার।
সোমবার (৪ আগস্ট) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গুলিটি লেগেছে জাজারের বাম চোখে। চিকিৎকরা বলছেন, তার বাম চোখে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
আবু জাজার আল জাজিরাকে জানায়, একবার গুলি লাগার পরেও ইসরাইলি সৈন্যরা যখন তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছিল তখন তার মনে হচ্ছিল, এই বুঝি শেষ। তার মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন:‘যুদ্ধ যদি চলতে থাকে, আমি আমার জীবন শেষ করে ফেলব’
হাসপাতালের বিছানায় সাদা ব্যান্ডেজ চোখে নিয়ে ঘটনার মর্মান্তিক ধারাবাহিকতা বর্ণনা করে আবু জাজার বলে, সে রাত ২টার দিকে ত্রাণকেন্দ্রে খাবারের সন্ধানে গিয়েছিল।
জাজার জানায়, এ দিনই প্রথমবারের মতো খাবার খুঁজতে বিতরণকেন্দ্রে যায় সে। কারণ তার বোন এবং সে না খেয়ে ছিল।
জাজার খাবার নিতে যাওয়া অন্য মানুষদের সাথে সাথে যায় এবং প্রায় পাঁচ ঘন্টা পরে গাজা শহরের আশেপাশের আল-মুনতাজা পার্কে পৌঁছায়।
জাজার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানায়, ‘আমরা দৌড়াচ্ছিলাম যখন তারা আমাদের দিকে গুলি করতে শুরু করল। আমি আরও তিনজনের সাথে ছিলাম; তিনজনই আহত হয়েছিল। আমরা দৌড়াতে শুরু করার সাথে সাথেই তারা গুলি চালায়। তারপর আমার শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো কিছু অনুভব করলাম। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম। আমি জানি না আমি কোথায়, আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম। যখন আমি জেগে উঠলাম, আমি লোকেদের জিজ্ঞাসা করলাম, আমি কোথায়?’
আবু জাজারের কাছে থাকা অন্যরা তাকে জানায়, তার মাথায় গুলি লেগেছে। ইসরাইলি বাহিনী তখনও গুলি চালাচ্ছিল। আমি ভয় পেয়ে গেলাম এবং নামাজ পড়তে শুরু করলাম।
হাসপাতালের একজন ডাক্তার জাজারের আহত চোখের কাছে একটি ফোনের আলো ধরে জিজ্ঞাসা করলেন, সে কিছু দেখতে পাচ্ছে কিনা। কিন্তু সে দেখতে পাচ্ছিল না। ডাক্তার গুলিতে চোখে ছিদ্রযুক্ত আঘাতের কারণ নির্ণয় করলেন।
আবু জাজারের চোখে অপারেশন করাতে হয়েছে। সে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, আশা করি আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসবে, ইনশাআল্লাহ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।