বিনোদন ডেস্ক: কলকাতার অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুতে তার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা নিজেদের ‘বিবাহিত’ পরিচয় দিয়ে গড়ফার গাঙ্গুলি বাগানের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। অভিনেত্রী শুটিংয়ে গেলে ওই ফ্ল্যাটে অন্য মেয়েকে আনতেন তার প্রেমিক। শোনা যায়, মেয়েটি আর কেউ নয়, পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা।
তবে ঐন্দ্রিলার ভাষ্য, এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তিনি পল্লবীকে যথেষ্ট ভালোবাসতেন। তারা দু’জন ছোট থেকে একসঙ্গে বেড়ে উঠেছেন। সাগ্নিকের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি জানতেন, ওরা (পল্লবী-সাগ্নিক) দুজন একসঙ্গে ভালো আছে।
এদিকে পল্লবীর বাবার দাবি- কয়েক মাস আগে গোপনে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন সাগ্নিক।
তিনি জানিয়েছেন, সাগ্নিক সত্যিই বিবাহিত। সেটি লুকিয়েই পল্লবীর সঙ্গে থাকা শুরু করেন। পল্লবী শুটিংয়ে গেলে ওই মেয়ে বাড়িতেও আসত। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সাগ্নিক দাবি করেছিল, সে ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছে। খুব শিগগিরই সেটা হয়ে যাবে।
পল্লবীকে মারধরের অভিযোগ এনে তার বাবার দাবি, সাগ্নিক আমার মেয়েকে মারধর করত। পল্লবীর অনেক বন্ধুই সে রকম চিহ্ন দেখে ব্যাপারটা আমাকে জানিয়েছে। আমরাও মেয়ের শরীরে দাগ দেখেছি।
অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পল্লবীর টাকা পয়সা হাতানোর ছক থাকতে পারে সাগ্নিকের। কারণ, পল্লবীর ফিক্সড ডিপোজিটের নমিনি ছিলেন সাগ্নিক। সেখান থেকেই টাকা হাতানোর পরিকল্পনা করে থাকতে পারেন তিনি।
এ ছাড়াও নিউটাউনে মোট ৮০ লাখ টাকার ফ্ল্যাট বুকিং করেছিলেন সাগ্নিক। সেই ফ্ল্যাট ছিল সাগ্নিক ও তার বাবার নামে। ফ্ল্যাটটি কেনার জন্যও টাকা দিয়েছিলেন পল্লবী। স্বাভাবিক কারণে পুলিশ এই দিকগুলো খতিয়ে দেখছে।
এদিকে সাগ্নিকের পরিবারের দাবি, ছেলের সঙ্গে পল্লবীর লিভ-ইনে মত ছিল না তাদের। তারা চাইতেন, ওরা (সাগ্নিক-পল্লবী) বিয়ে করে একসঙ্গে থাকুক। তবে তাদের লিভ-ইনে থাকায় মদত ছিল মেয়ের পরিবারের। ওরাই (পল্লবীর পরিবার) এই ফ্ল্যাট দেখে দিয়েছিলেন। মেয়ের কাছে এসে থাকতেনও।
প্রসঙ্গত, পল্লবী-সাগ্নিক যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, রবিবার (১৫ মে) সকালে সেখান থেকেই অভিনেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকাহত তার সহকর্মীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।