বিনোদন ডেস্ক : ঐন্দ্রিলা কোনও ভাবে পল্লবী দে-র রহস্যমৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত? তিনি কি আগে থেকেই সাগ্নিক-ঘনিষ্ঠ? উত্তর খুঁজছে আনন্দবাজার অনলাইন পল্লবী-সাগ্নিক-ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায় ত্রিকোণ জট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে নানা তথ্য।
তার মধ্যেই শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে পল্লবী দে-র বন্ধু সায়ক চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘ঐন্দ্রিলা বলছে, ও নাকি সাগ্নিককে বেশি দিন চেনে না। আমার ধারণা ও মিথ্যে বলছে। একত্রবাসের বর্ষপূর্তি উদযাপনে পল্লবীর জন্য সোনার হার কিনতে গিয়েছিল সাগ্নিক। তখনও ওর সঙ্গী ঐন্দ্রিলা!’’
কেমন ছিল সাগ্নিক-পল্লবীর বর্ষপূর্তির উদযাপন? সায়কের কথায়, ‘‘পল্লবী আমায় খুব সম্মান করত। ওর ভাল-মন্দ ভাগ করে নিত। সেই সুবাদে আলাপ ছিল সাগ্নিকের সঙ্গেও।’’ উদ্যাপনেও তাই তিনি যুগলের নিমন্ত্রিত অতিথি।
তার আগে সাগ্নিক হোয়াটসঅ্যাপে সায়কের থেকে পোশাক শিল্পীদের যোগাযোগের নম্বর জানতে চান। তিনি আর পল্লবী এক রকম ডিজাইনার পোশাকে সাজবেন, তাই। অভিনেতা সাগ্নিককে বেশি কিছু পোশাকশিল্পীর হদিশও দেন।
সঙ্গিনীকে চমকে দিতে সাগ্নিক বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বাওয়ালি রাজবাড়িতে। সায়কের দাবি, ‘‘আয়োজন দেখে আমিই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তিনটি কটেজ ভাড়া করেছিল সাগ্নিক। সঙ্গে খানাপিনার এলাহি আয়োজন।
এ ছাড়া, বড় কেক, কেকের ভিতরে দামি আংটি কিচ্ছু বাদ রাখেনি। আমার গাড়ি নেই। সে দিন শ্যুটিং ফ্লোরে সাগ্নিকের গাড়ি নিতে এসেছিল। আবার পৌঁছে দিয়েছিল গাড়িতেই!’’ সাগ্নিকের খরচের বহর দেখে সে দিন চোখ কপালে উঠেছিল অভিনেতার। এলাহি আয়োজনের খরচ কোথা থেকে জোগাচ্ছে অভিযুক্ত? মনে প্রশ্নও জেগেছিল। কিন্তু পল্লবীর মুখ চেয়ে এ সব কথা আর তোলেননি তিনি। এবং পল্লবীও নাকি হোটেল, রেস্তরাঁয় পার্টি, খাওয়া দাওয়া খুব পছন্দ করতেন। নায়িকার সেই সাধ নাকি প্রায়ই পূরণ করত অভিযুক্ত।
আয়োজনের এখানেই শেষ নয়। এত কিছুর পাশাপাশি অভিযুক্ত প্রয়াত পল্লবীকে সোনার হারও উপহার দিয়েছিলেন। অভিনেতা জানিয়েছেন, প্রথম সারির সোনার গয়নার বিপণিতে হার কিনতে গিয়েছিলেন সাগ্নিক। সে দিনও তাঁর সঙ্গী ঐন্দ্রিলা।
পল্লবীর জন্য কেনা হার তার বান্ধবীর গলাতেই আগে শোভা পেয়েছিল। ঐন্দ্রিলাকে হার পরিয়ে সাগ্নিক দেখেছিলেন, হারটা কেমন! সেই ছবি সায়ককে দোকান থেকেই তুলে পাঠান তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সেই ছবি ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।