বিনোদন ডেস্ক : অসংখ্য প্রেমের মুহূর্ত লেন্সবন্দি হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পল্লবীর ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। দেখা গিয়েছিল, সাগ্নিকের দিকে হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে তিনি। প্রেমিকের হাতে গয়নার একটি ছোট আকারের বাক্স। খুব সম্ভবত সেটিতে আংটি রাখা ছিল। সাদা-কালো সেই ছবি দিয়ে পল্লবী লিখেছিলেন, ‘অবশেষে’। কমেন্ট বক্সে বয়ে গিয়েছিল শুভেচ্ছা বার্তার বন্যা। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সেরে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী?
রবিবার গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রীর পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ। এর পরেই সন্দেহের তির ঘুরেছে তাঁর প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীর দিকে। ২৫ বছর বয়সী অভিনেত্রীর বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। পল্লবীর সহকর্মীদের গলাতেও শোনা গিয়েছে একই সুর। অনেকেই মনে করছেন, আত্মহত্য়ার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে তাঁদের সতীর্থকে। আপাতত পুলিশি জেরার মুখে সাগ্নিক।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত থেকেই সাগ্নিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন পল্লবী। তবে অভিনেত্রীর ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে ব্যক্তিগত টানাপড়েনের কোনও ছাপ ছিল না আগাগোড়াই। গত ৪ মে ইনস্টাগ্রামে সাগ্নিকের সঙ্গে শেষ ছবি দিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী। তবে একা ছিলেন না তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন বন্ধুরাও। সম্ভবত কোনও পার্টিতে গিয়ে লেন্সবন্দি হয়েছিলেন সকলে। প্রেম নিয়ে আগাগোড়াই রাখঢাক করেননি অভিনেত্রী। মাঝেমধ্যেই ছবি দিতেন প্রেমিকের সঙ্গে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুদের নিয়ে নিজের জন্মদিনও পালন করেছিলেন পল্লবী। সেখানেও সাগ্নিকের সঙ্গে যথেষ্ট হাসিখুশি দেখিয়েছিল অভিনেত্রীকে। প্রেমিককে আদরের ছবিও দিয়েছিলেন তিনি।
এমনই অসংখ্য প্রেমের মুহূর্ত লেন্সবন্দি হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পল্লবীর ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। দেখা গিয়েছিল, সাগ্নিকের দিকে হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে তিনি। প্রেমিকের হাতে গয়নার একটি ছোট আকারের বাক্স। খুব সম্ভবত সেটিতে আংটি রাখা ছিল। সাদা-কালো সেই ছবি দিয়ে পল্লবী লিখেছিলেন, ‘অবশেষে’। কমেন্ট বক্সে বয়ে গিয়েছিল শুভেচ্ছা বার্তার বন্যা। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সেরে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী? গড়ফার ফ্ল্যাটে যদিও স্বামী-স্ত্রী পরিচয়েই থাকছিলেন তাঁরা।
পল্লবী অভিনেত্রী হলেও সাগ্নিক আগাগোড়াই ইন্ডাস্ট্রির বাইরে। তিনি কী করতেন, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে তাঁর বাবা সুভাষ চক্রবর্তী জানান, ‘অনলাইন’-এ কাজ করেন ছেলে। সাগ্নিকের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটি ‘প্রাইভেট’ করা। অর্থাৎ তাঁর অনুমতি ছাড়া সেই প্রোফাইলের ছবি ভিডিয়ো দেখা যাবে না। ইনস্টাগ্রামের ‘বায়ো’-তে তাঁর ফেসবুক লিঙ্কটি রয়েছে বটে। কিন্তু সেই সূত্র ধরে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, বিতর্ক এড়ানোর জন্য এই মুহূর্তে অ্যাকাউন্টটিকে ‘ডিলিট’ অথবা ‘ডিঅ্যাক্টিভেট’ করে দিয়েছেন তিনি। তবে সাগ্নিক যে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল, তা বলে দেয় তাঁর সাজপোশাক এবং বহুমূল্য ফোন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।