চাষাবাদ পদ্ধতি : বাংলাদেশে নানা প্রকার কচু জন্মে থাকে। এদের মধ্যে পানিকচু, মুখীকচু, পঞ্চমুখীকচু, দুধকচু, ওল কচু, মানকচু প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। নিম্নে পানিকচুর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
উপযোগী জমি ও মাটি : বৃষ্টি বা সেচের পানি সহজেই ধরে রাখা যায় এ ধরনের মাঝারি নিচু থেকে উঁচু প্রকৃতির দোআঁশ ও এঁটেল দোআঁশ মাটিযুক্ত জমি পানিকচু চাষের জন্য উপযোগী।
জাত নিবার্চন : বাংলাদেশে অনেক জাতের পানিকচুর চাষ হয়। এর মধ্যে লতিরাজ জাতের পানিকচুর প্রচুর লতি উৎপন্ন হয়।
চারা রোপণের সময় : সাধারণত অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাসে পানিকচুর চারা রোপণ করতে হয়। তবে আগাম ফসলের জন্য আশ্বিন-কার্তিক মাসেও চারা লাগানো যায়।
জমি তৈরী : দুই-তিনটি চাষ ও মই দিয়ে থকথকে কাদাময় করে পানি কচুর জন্য জমি তৈরি করতে হয়।
সার প্রয়োগ : পানিকচু চাষের জন্য হেক্টরপ্রতি ১০ টন গোবর, ১৫০ কেজি ইউরিয়া, ১২৫ কেজি টিএসপি, ১৫০ কেজি এমওপি, ৯০ কেজি জিপসাম ও আট কেজি দস্তা সার প্রয়োগ করতে হয়। শেষচাষের সময় গোবর, টিএসপি, জিপসাম ও দস্তা সার প্রয়োগ করে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। আর ইউরিয়া ও এমওপি সার সমান দুই কিস্তিতে চারা রোপণের ২০-৩০ দিন পর প্রথম কিস্তি এবং ৬০-৯০ দিন পর দ্বিতীয় কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করে হাত দিয়ে মাটির সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হয়।
চারা রোপণ পদ্ধতি : জমি তৈরি করার পর ৬০ সে.মি. দূরে দূরে সারি করে প্রতি সারিতে ৪৫ সে.মি. পর পর (৫-৬ সে.মি. গভীরে) পানিকচুর চারা রোপণ করতে হয়। এ দূরত্ব অনুসারে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৩৭ হাজার (বিঘায় ৫০০০) চারার প্রয়োজন হয়।
পরবর্তী পরিচর্যা : প্রয়োজনমতো নিড়ানি দিয়ে পানিকচুর তে সব সময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। গোড়ায় চলমান ও অগভীর পানি পানিকচু গাছের দ্রুত বৃদ্ধির সহায়ক। তাই চারা রোপণের পর থেকে ফসল তোলার আগ পর্যন্ত জমিতে ২-৫ সে.মি. পানি আটকিয়ে রাখতে হয়। তা ছাড়া পানি কচুর সঠিক বাড়-বাড়তির জন্য মাঝে মাঝে জমি থেকে পানি বের করে দিয়ে হাত বা পা দিয়ে জমির মাটি নেড়েচেড়ে দিতে হবে। দুই-তিন দিন জমি শুকানোর পর আবার পানি সেচ দিতে হবে।
পোকা মাকড় ও রোগবালাই দমন : পোকার মধ্যে মাকড় ও লেদা পোকা এবং রোগের মধ্যে পাতার দাগ পানিকচুর ক্ষতি করে। সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার (আইপিএম) মাধ্যমে এসব পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন করতে হবে।
ফসল সংগ্রহ ও ফলন : পানিকচুর চারা গজানোর ৬০-৯০ দিনের মধ্যে লতি তোলার উপযোগী হয়। ১০-১৫ দিন পর পর লতি তোলা যায়। আর চারা রোপণের ১৪০-১৮০ দিনের মধ্যে পানিকচুর কাণ্ড সংগ্রহের উপযোগী হয়। উন্নত পদ্ধতিতে পানিকচু চাষ করলে প্রতি হেক্টর জমি থেকে ২৫-৩০ টন কাণ্ড এবং ১০-১২ টন লতি পাওয়া যায়।
পূজা হেগরে এবার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের তালিকায়
সূত্র : এগ্রোবাংলা ডটকম
লেখক: মো: আবদুর রহমান
সুলভে কৃষি পন্য ক্রয়ে আস্থা রাখুন বাংলাদেশের প্রথম কৃষি ভিত্তিক ইকমার্স ‘এগ্রোবাংলা শপ‘ এ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।