জুমবাংলা ডেস্ক : উজানের পাহাড়ি ঢল আর গেল কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যদিও ২৪ ঘণ্টা স্থায়ী না হয়েই ফের কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি। আর পানি কমার সাথে সাথে তিস্তার গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার বেশ কয়েকটি অংশে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একইসময়ে নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ এই পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৬ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ভারত থেকে নেমে আসা ঢল আর কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে গত শুক্রবার থেকে তিস্তার পানি প্রবাহ বাড়তে থাকে। শনিবার রাত ১১টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি প্রবাহ। একই সময়ে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও বাম তীরের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েন। ডুবে যায় কৃষকের ফসল, ভেসে যায় পুকুরের মাছ। শনিবার রাত থেকে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রোববার রাত থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। এদিকে তিস্তার পানি প্রবাহ কমে গেলেও নতুন করে নদী ভাঙনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
কাউনিয়ার মধুপুর ইউনিয়নের তিস্তার তীরবর্তী চরগনাই এলাকার বাসিন্দা আজমল ও জসিম মিয়া জানান, গতকাল রোববার থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এতে বাড়িঘর থেকেও পানি সরে যাচ্ছে। যদিও পানি কমলেও নতুন করে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। প্রতি বছর আমাদের ফসলি জমি নদীর পেটে চলে যাচ্ছে। এবারও চলে যাবে হয়ত। এ নিয়ে চিন্তায় আছি। তাই আর কোনো আশ্বাস নয়, তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা নিতাই চন্দ্র জানান, শুক্রবার থেকে হঠাৎ উজানের পানি আসতে থাকে। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। শনিবার রাত থেকে পানি হু-হু করে বাড়ে। তবে এখন কমতে শুরু করেছে।
ডালিয়া পাউবোর উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, উজানের ঢল আর বর্ষণে তিস্তায় পানির প্রবাহ বেড়েছিল। তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলেও বর্তমানে কমতে শুরু করেছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
শিশু জন্মের সময় ৩০০টি হাড় থাকে পরে ২০৬টি, তাহলে বাকি ৯৪টি হাড় কোথায় যায়?
রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক এলাকায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলো। সেটি গতকাল রাত থেকে কমে গেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে পানিবন্দি পরিবারগুলো মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।