আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিখদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা অকাল তখত, পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বাদলকে শাস্তি হিসেবে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরসহ বিভিন্ন গুরুদ্বারের রান্নাঘর ও বাথরুম পরিষ্কারের দায়িত্ব দিয়েছে। ২০১৫ সালে গুরু গ্রন্থ সাহিবের অবমাননা মামলায় ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমীত রাম রহিমকে সমর্থন দেওয়ার কারণে এই শাস্তি দেওয়া হয়। সুখবীর বাদলের পিতা, প্রয়াত প্রকাশ সিং বাদল, যিনি পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তাকে ২০১১ সালে শিখ সম্প্রদায়ের জন্য দেওয়া ‘ফখর-এ-কওম’ (শিখ সম্প্রদায়ের গৌরব) সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
হুইলচেয়ার-নির্ভর সুখবীর বাদল ও ২০১৫ সালে মন্ত্রিসভায় থাকা শিরোমণি অকালি দলের মূল কমিটির সদস্যরা ৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত স্বর্ণমন্দিরের বাথরুম পরিষ্কার করবেন। এরপরে তারা স্নান করে লঙ্গর সেবায় অংশ নেবেন। অকাল তখতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পর এই শাস্তি ঘোষণা করা হয়।
অকাল তখতের প্রধান পুরোহিত জিয়ানি রঘবীর সিং-এর নেতৃত্বে শিখদের পাঁচজন প্রধান পুরোহিত ‘তনখাহ’ (ধর্মীয় শাস্তি) ঘোষণা করেন। জিয়ানি রঘবীর সিং শিরোমণি অকালি দলের কার্যনির্বাহী কমিটিকে সুখবীর বাদলের পদত্যাগ গ্রহণ এবং ছয় মাসের মধ্যে দল পুনর্গঠনের জন্য একটি প্যানেল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।
গত আগস্টে অকাল তখত সুখবীর বাদলকে ‘তনখাইয়া’ ঘোষণা করেছিল। শিরোমণি অকালি দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ২০০৭ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সংঘটিত ধর্মীয় ভুলত্রুটির জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এসব ভুলের মধ্যে অন্যতম ছিল গুরমীত রাম রহিমকে ২০১৫ সালে অবমাননার জন্য ক্ষমা করা, যা পাঞ্জাবের বিভিন্ন স্থানে ডেরা অনুসারী এবং শিখদের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি করেছিল।
২০০৭ সালে গুরমীত রাম রহিম শিখ গুরুদের মতো পোশাক পরে একটি অনুষ্ঠান করেছিলেন, যা নিয়ে তাকে অকাল তখত থেকে বহিষ্কার করা হয়। সুখবীর বাদল তার প্রভাব খাটিয়ে ডেরা প্রধানকে ক্ষমা করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।