আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যেই গত রবিবার ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাঙ্কার ব্লাস্টার হিসেবে পরিচিত ১৩ হাজার ৬০০ কেজি ওজনের জিবিইউ-৫৭ নামের ওই বোমাগুলো দিয়ে হামলা করা হয়ে ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে। তবে এই হামলায় কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটি নিয়ে তথ্য মিলছে না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রতিবেদনের মধ্যে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে মার্কিন হামলার বিষয়ে পেন্টাগনের একটি প্রাথমিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন ফাঁস হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করেনি এবং সম্ভবত এটিকে কেবল ‘কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে।’ এই গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ব্যাপারে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ অবশ্য দাবি করেছেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই’ এটি ফাঁস করা হয়েছে।
ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে এই বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল ট্রাম্পের কাছে। এই হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কতদিন পিছিয়ে গেছে এমন প্রশ্নে ট্রাম্পের উত্তর, ‘আমি মনে করি কয়েক দশক পিছিয়ে গেছে। আমি মনে করি তারা যদি এটি পেত তাহলে তারা নরকে যেত। সবশেষ তারা সমৃদ্ধকরণ করতে চেয়েছিল। ওই আঘাত যুদ্ধের সমাপ্তি টেনেছে।’
ওই হামলার পর স্যাটেলাইট ছবিতে ভূগর্ভস্থ ফোর্দোর দুটি প্রবেশপথের চারপাশে ছয়টি নতুন গর্ত দেখা যায়, ইসফাহানেও একই রকম গর্ত দেখা যায়। ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলাকে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলে অভিহিত করেন। তখন ট্রাম্প আরও বলেন, ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা ‘সম্পূর্ণ এবং সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস’ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাঙ্কার ব্লাস্টার’ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানলেও ইরানের ইউরেনিয়াম মজুতে সেটি আঘাত করেছে কি না সেটি নিশ্চিত নয়। এই মজুত আগেই সরানো হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক সংস্থার উপ-রাজনৈতিক পরিচালক হাসান আবেদিনিও দাবি করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা লক্ষ্যবস্তু করা তিনটি স্থান ‘কিছুক্ষণ আগেই’ খালি করা হয়েছিল, এবং ইরান ‘বড় কোনো আঘাতের সম্মুখীন হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।