স্পোর্টস ডেস্ক : ঢাকা টেস্ট ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে। সিরিজ জয় বা সিরিজ ‘ড্র’র সুযোগ থাকলেও বোলারদের ব্যর্থতা আর টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ঘরের মাঠেই সিরিজ হারতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে।
প্রথম ইনিংসে টপঅর্ডারের চরম বাজে ব্যাটিংয়ের পরও বাংলাদেশ দল লিটন-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ৩৬৫ রান তুলেছিলো। কিন্তুু প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে বোলাররা আটকাতে পারেননি। নিষ্প্রাণ বোলিংয়ে পিটিয়ে লঙ্কানরা উল্টো ১৪১ রান লিড নেয় নিজেদের প্রথম ইনিংসে।
সাকিব বাদে সব সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিকল্প তৈরি আছে এমন মন্তব্য করেছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। তবে চট্টগ্রাম ও ঢাকা টেস্টে মুশফিকের সেঞ্চুরির পর সেই মন্তব্য পাল্টালেন পাপন।
পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ দল আবারো প্রথম ইনিংসের মতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। প্রথম ইনিংসে যেখানে ২৪ রানে ৫ উইকেট ছিলো, দ্বিতীয় ইনিংসে সেখানে ২৪ রানে ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসে লিটন-মুফশিক টানলেও দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন লিটন-সাকিব।
তবে লিটন-মুশফিক খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। দু’জনেই ব্যক্তিগত ফিফটির পরপরই ফিরেছেন সাজঘরে। বাংলাদেশ তাই গুটিয়ে যায় ১৬৯ রানে। ২৯ রানের সহজ লক্ষ্য পেয়ে লঙ্কানরা তা টপকে গেছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
ম্যাচ শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, প্রতি ম্যাচে লিটন-মুশফিক টানবে কি ভাবে। অন্যরা পারেনি। সেই সঙ্গে বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন, সাউথ আফ্রিকায় গিয়ে স্পিন খেলতে পারেনি, ঘরের মাঠেও স্পিন খেলতে সমস্যা হয়েছে।
দুই ইনিংসে ব্যর্থ হওয়া ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজদের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। যারা আছে তাদেরকে দু’এক বছর পাওয়া যাবে বলেও মন্তব্য করেন ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমকে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমি প্রায়ই বলি সব প্লেয়ারের বিকল্প আছে। সাকিবের নাই। এখন আমাকে যদি বলেন তামিম-মুশফিকের বিকল্প কে? কিন্তুু আসলে তাদের বিকল্প নাই। যারা আছে এক দুই বছর পর হয়তো তাদের পাওয়া যাবে। সাকিবের কোনো বিকল্প নেই।’
মূল তিন বোলার তাসকিন, শরিফুল-মিরাজ ছিলেন না জানিয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, আমাদের জেনুইন তিনটা বোলার নেই। তাসকিন, শরিফুল-মিরাজ নেই। টেস্টে মিরাজ আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ। মিরাজের বিকল্প নেই। আমি শিওর তার বিকল্প নেই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।