বিনোদন ডেস্ক : তখনও তিনি দেবশ্রী হননি, ছিলেন চুমকি, সেই ছোট্ট বয়সেই তরুণ মজুমদারকে গুন্ডা দিয়ে মার খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটি। আজ, তরুণ মজুমদারের না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার দিন বারবার ফিরে আসছে পুরনো সেই স্মৃতি।
এক সাক্ষাৎকারে দেবশ্রী রায়কে ‘কুহেলি’র স্মৃতিচারণা করতে শোনা গেছে। আর তরুণ মজুমদারের ‘কুহেলি’ ছবি দিয়েই অভিনয় জীবনের হাতেখড়ি হয়েছিল দেবশ্রীর। তখন অবশ্য তিনি ‘চুমকি’। শুটিংয়ে একটি কান্নার দৃশ্য ছিল। আর ছবির সেটে কাঁদতে নারাজ ছোট্ট চুমকি। তাঁকে কোনওভাবেই কাঁদানো যাচ্ছিল না।
এমনকি চোখে গ্লিসারিন দিতেও দেননি তিনি। অগত্যা, সিনেমাটোগ্রাফার সৌম্যেন্দু রায়কে ক্যামেরা তৈরি রাখতে বলে চুমকিকে ভীষণ বকাঝকা করতে শুরু করেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। আচমকা পরিচালকের ধমক খেয়ে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন চুমকি। ক্যামেরা কিন্তু চলছে। তবে এবার শট শেষেও চুমকিকে থামানো যাচ্ছিল না, সে কেঁদেই চলেছিল। এমনকি চকোলেট দিয়েও না।
আর তখনই রেগে গিয়ে একটা কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছিল ছোট্ট চুমকি। শুটিং সেটে সবার সামনে চুমকি তরুণ মজুমদারকে বলে বসে, ”আমায় এমন করলে তো, পাড়ায় এস, আমার হাতে অনেক গুন্ডা আছে, তাদের দিয়ে তোমায় মার খাওয়াব।” এটা নিয়ে অবশ্য অনেক বড় বয়স পর্যন্ত দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে মজা করতে তরুণ মজুমদার।
শুধু তাই নয়, ‘কুহেলি’-র পর হিন্দি ছবি ‘বালিকা বধূ’-তেও দেবশ্রী রায়কে নিয়ে কাজ করার ভাবনা ছিল তরুণ মজুমদারের, তবে দেবশ্রীর চোখ মুখের সারল্যের কারণে তাঁকে সেই ছবিতে নেননি তরুণ মজুমদার। পরিচালক দেবশ্রীর মা-কে জানান, ‘মিসেস রায় আমার ছবির জন্য একটা পাকা বাচ্চা চাই।’ পরবর্তীকালে তরুণ মজুমদারের ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ ছবিতে কাজ করেন দেবশ্রী রায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।