বিনোদন ডেস্ক : মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র পাঠান। মুক্তির পরপরই বিশ্বব্যাপী দাপটের সাথে ব্যবসা করছে সিনেমাটি। প্রথম দিনের দারুণ সাফল্যে সিনেমাটির স্ক্রিন সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আরো বেশ কিছু দেশে সিনেমাটি মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। সেই প্রক্রিয়ায় রয়েছে বাংলাদেশও। ইতিমধ্যেই সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে ‘পাঠান’ মুক্তি নিয়ে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়েছে। দেশে হিন্দি সিনেমার আমদানি নিয়ে পক্ষ বিপক্ষে যুক্তির লড়াই শুরু হয়েছে চলচ্চিত্রপাড়ায়। ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও অদৃশ্য বাঁধায় আবারো সেই মুক্তির সম্ভাবনা ঝুলে রয়েছে।
এ বিষয়ে দেশীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও তারকারা ভিন্ন ভিন্ন মতামত প্রকাশ করছেন। কারো মতে দেশে হিন্দি চলচ্চিত্র আসা উচিত। এতে করে সিনেমাহল গুলোতে দর্শকদের উপস্থিতি বাড়বে। আবার কারো কারো মতে, বাংলাদেশে হিন্দি চলচ্চিত্র এলে পরিনাম হবে ভয়াবহ! তবে এসব তর্ক বিতর্কের মাঝেই এবার দেশে হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানির বিষয়ে মুখ খুললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার মতে, পাঠান বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সাথে কথোপকথনে বাংলাদেশে ‘পাঠান’ মুক্তির প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পাঠান মুক্তি পেলে ভালো হয়। দেওয়া নেওয়া অবশ্যই ভালো। এতে আমরা আরো সমৃদ্ধ হব।’
নিজেকে একজন চলচ্চিত্র অনুরাগী দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একসময় বাংলা ছবি দেখতাম। আমি মূলত উত্তম কুমার ও সুচিত্রার ছবি বেশি দেখতাম। বাংলা সিনেমার সবেচেয়ে ভাল অভিনেতা ও অভিনেত্রী তারা দুজন। তাদের কোনো তুলনা হয় না। রহমান-শবনব জুটির ছবিও দেখেছি। সাংঘাতিক হিট ছিল তারা। এখন অনেকেই তাদের চেনে না। ববিতা, শাবানা, রাজ্জাক, নাদিম এদের ছবিও দেখা হতো।’
এদিকে বাংলাদেশে পাঠান মুক্তির প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পর এবার শিল্পী সমিতিও হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানিতে সম্মতি প্রকাশ করেছে। এর আগে শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে নিপুণ বলেছেন, তিনি ও শিল্পী সমিতি হিন্দি সিনেমা আমদানির পক্ষে। শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে এমন একটি সিদ্ধান্ত প্রাথমিকভাবে নেওয়া হয়েছে। হিন্দি ছবি মুক্তিতে শিল্পী সমিতির আপত্তি নেই, তবে একটা শর্ত রয়েছে। তারা এই ছবি থেকে আয়ের ১০ ভাগ চায়। এদিকে শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক জায়েদ মনে করেন, হিন্দি ছবি আমদানির ফলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি নেপালের মতো হবে।
তবে সকল তর্ক বিতর্ক এড়িয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীরাও চাইছে পাঠান আসুক। বাংলাদেশের সিনেমাহলে পাঠান দেখতে উৎসুক সিনেমাপ্রেমীরা। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে পাঠানের আগমন কতটা ফলপ্রসু হয়!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।