সুয়েব রানা, সিলেট : সিলেটের পাথর ব্যবসায়ীদের জন্য বিশাল সুখবর দিলো জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। পাথর কোয়ারি নিয়ে এতদিনের ধূম্রজাল এবার নিরসন হলো সেই সুখবরে। এখন প্রায় প্রস্তুত রয়েছে সিলেটের ভোলাগঞ্জ, উৎমা, লোভাছড়া ও শ্রীপুরসহ অন্যান্য পাথর কোয়ারি। চলতি মৌসুমেই লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে কর্তৃপক্ষ- এমনটি ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি দেশের ইজারাযোগ্য পাথর কোয়ারিগুলোর একটি তালিকা করে জ্বালানী ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। বিভাগটির পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত ওই তালিকায় রয়েছে সিলেট জেলার কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের ৪টি পাথর কোয়ারি। চিঠিটি বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদকের হাতে আসে। এতে ভোলাগঞ্জ, উৎমা, লোভাছড়া ও শ্রীপুরসহ সুনামগঞ্জ ও পঞ্চগড় জেলার কোয়ারীগুলোর নামের পাশে- ‘সরকারিভাবে লিজ প্রদানে আর বাধা নাই’ এমনটি উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, লিজ প্রদানে বাধা না থাকার খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ মে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে চলে। কারণ দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা ব্যাংক লোন পরিশোধসহ নানান প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে জীবন যাপন করছেন এবং পাথর শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন- গত ফ্যাসিস্ট সরকারের দরবেশ বাবার সিন্ডিকেট দেশের সকল পাথর কোয়ারিগুলো বন্ধ করে রেখেছিল। এখন তা মুক্ত হতে যাচ্ছে। বিষয়টি জেনে খুব ভালো লাগছে। পাথর কোয়ারির সাথে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো এখন কাজে ফিরতে পারবে। দেশের বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষ অভাবমুক্ত হবে।
ভোলাগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শওকত আলী বাবুল বলেন- ‘দীর্ঘ ৮ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সিন্ডিকেটের সাথে আইনি যুদ্ধ করে কোনো সুফল না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু হাল ছাড়িনি। ৫ আগস্টে খুনি হাসিনার পতন হলে জোরালোভাবে আইনী কাজ শুরু করি এবং আল্লাহর রহমতে ও অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। মন্ত্রণালয়ও দ্রুত কোয়ারিগুলো লিজ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারই অংশ হলো গত ২২ জানুয়ারির এই চিঠি। আমরা আশাবাদী এই চিঠির আলোকে বৈশাখের আগেই কোয়ারিগুলো লিজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।