পটুয়াখালীতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই বিএনপির দুই পক্ষের মারামারি

bnp (2)

জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালী জেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মী সমাবেশে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে ৫ জনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

bnp (2)

আহতরা হলেন- ছাত্রদল নেতা মো. ফিরোজ আলম খান ইউসুফ, যুবদলের রিয়াজ, জহির, রাসেল এবং হানিফ হাওলাদার।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে পটুয়াখালী শহরের পুরাতন আদালত মাঠে আয়োজিত কর্মী সমাবেশ শুরু হলে নেতাদের উপস্থিতিতেই আলতাফ হোসেন চৌধুরী গ্রুপ এবং স্নেহাংশু সরকার কুট্টি গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় জেলা এবং কেন্দ্রীয় নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলনের প্রস্তুতি বিষয়ে জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পটুয়াখালী সফরে যান কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। এ উপলক্ষে পুরাতন আদালত মাঠে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুপুরের পর থেকে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেন।

কর্মী সমাবেশ শুরু হলে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সমর্থিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা মাকসুদ বায়জিদ পান্না এবং তৌফিক আলী খান কবিরের নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে মাঠে উপস্থিত হন। এসময় আগে থেকেই জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির পক্ষের নেতাকর্মীরা মাঠে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের স্লোগান দেওয়া এবং মঞ্চে ওঠা নিয়ে দ্বন্দ্ব এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে গড়ায়। এসময় বেশ কয়েকজনকে রক্তাক্ত জখম হতে দেখা গেছে।

এদিকে নেতাকর্মীদের মারামারি চলাকালীন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুস রহমান এবং মাহবুবুল হক নান্নু মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাড়ছে সীমান্তবর্তী জনগণের উত্তেজনা

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ বায়জিদ পান্না বলেন, আমি যখন মঞ্চে উঠতে যাই তখন ছাত্রদল সভাপতি এবং যুবদলের কয়েকজন আমাকে বাধা দেয়। এসময় আমি নেমে এলে আমার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়৷ এতে চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।