লাইফস্টাইল ডেস্ক : কর্মব্যস্ত জীবনে সকালে অনেক সময় আয়োজন করে নাশতা করার খুব একটা সময় পাওয়া যায় না। তখন দ্রুত সময়ে খিদে মেটানোর সহজ খাবার হয়ে উঠে পাউরুটি। কিন্তু এই পাউরুটিরও যে বিস্তর ও চমকপ্রদ ইতিহাস রয়েছে তা কি জানা আছে?
ব্রেকফাস্ট কিংবা সকালের নাশতার অন্যতম খাবার পাউরুটি। ময়দা, পানি এবং ইস্ট বা অন্য লিভারিং এজেন্টের মিশ্রণে বেক করা এক জনপ্রিয় খাবার এটি। মজাদার এই রুটি দিয়ে ভিন্ন স্বাদের নানা পদের খাবারও তৈরি করা যায়।
কেউ রুটির সঙ্গে ডিমভাজি খেতে বেশি পছন্দ করেন। কেউবা জেলি অথবা স্যান্ডউইচ বানিয়ে খেয়ে থাকেন। আবার অনেকেই আছেন যারা শুধু শুকনো পাউরুটি খেতেই বেশ পছন্দ করেন। এ ছাড়া কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ উৎসের দিক দিয়ে পাউরুটি সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়।
গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বে প্রথম পাউরুটি মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে মিসরে, আজ থেকে প্রায় ১০ হাজার বছর আগে বা তার কাছাকাছি সময়ে তৈরি করা হয়েছিল। শুরুর দিকে বেকাররা জাঁতা নামক একটি সরঞ্জাম দিয়ে শস্য চূর্ণ করত। তারপর তা থেকে রুটি উৎপাদন করত। যার আকৃতি অনেকটা ভারতের চাপাটি কিংবা মেক্সিকোর টরটিলার মতো।
বর্তমানে প্যাকেটে যে পাউরুটি পাওয়া যায় তা সাধারণত স্লাইসড ব্রেড, অর্থাৎ ফালি করে কাটা পাউরুটি। এদিকে পাউরুটির ইতিহাস ১০ হাজার বছরের হলেও ফালি করা পাউরুটির প্রবর্তন হয়েছে প্রায় ১০০ বছর আগে। ১৯২৮ সালের ৭ জুলাই প্রথম স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা হয়েছিল ফালি করা পাউরুটি।
জার্মানি এমন এক দেশ, যেখানে পাউরুটি রয়েছে প্রায় ৩০০ রকমের! তা ছাড়া খাবার টেবিল ছাড়াও কাব্য, শিল্প, সাহিত্য, ধর্ম–প্রায় সব ক্ষেত্রেই যেন রুটি বা পাউরুটি বিরাজ করছে। এমনকি রুটির ইতিহাস ও প্রভাব নিয়ে পুরো একটি মিউজিয়ামও রয়েছে অস্ট্রিয়ায়, যার স্থাপত্যশৈলী নজর কাড়ে যে কারোরই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।