লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের অনেকেরই হঠাৎ করে পায়ের রগে টান ধরে। পা নাড়াতে কষ্ট হয়। বিশেষ করে শীতকাল এলেই সমস্যাটি বেশি হয়। কখনো ঘুমের মধ্যে, আবার কখনো আবার ঘুম থেকে উঠতে গেলে কিংবা সকালে হাঁটা শুরু করতেই পায়ের রগে টান ধরে। কখনো বা হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই বেঁকে যায় পা। রগে টান ধরলে অনেকক্ষণ অসহ্য যন্ত্রণা থাকে।
শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে সাধারণত এই টান ধরার প্রবণতা বাড়ে। এছাড়া শরীরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের ঘাটতিসহ বিভিন্ন কারণেই এ সমস্যাটি হতে পারে। রগে টান ধরলে ঘরোয়া উপায়েই তা সারিয়ে তুলতে পারবেন। তবুও যদি না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
চলুন জেনে নেওয়া যাক পায়ের রগে টান ধরার সমস্যায় যা করবেন—
১. হাত-পা-আঙুল বা কোমরে ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে আক্রান্ত স্থানে ও তার চারপাশে আঙুলের চাপে ম্যাসাজ করুন। এমনভাবে মাসাজ করতে হবে যাতে শক্ত হয়ে যাওয়া পেশী ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।
২. পায়ে ক্র্যাম্পের ক্ষেত্রে হালকা করে চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করুন। অন্য কোনো ব্যায়াম এ সময় না করাই ভালো।
৩. থাইয়ের পেশীতে টান লাগলে জায়গাটা নরম করে একটি শক্ত কিছুতে ভর দিয়ে দাঁড়ান। টান ধরা পাকে কোমর অবধি টানটান করুন ধীরে ধীরে।
৪. হট ব্যাগ ব্যবহার করুন টান ধরার জায়গায়। ১০ সেকেন্ড রাখার পর সেখানে বরফ সেঁক দিন। আবার ১০ সেকেন্ড পর হট ব্যাগ দিন। এভাবে ঠান্ডা ও গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমতে শুরু করবে।
৫. হঠাৎ পায়ে টান ধরলে শক্ত কোনো কাজ করবেন না। এতে টান ধরা জায়গায় চাপ পড়তে পারে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
৬. রগে টান ধরা এড়াতে সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে।
৭. পটাশিয়াম কার্বন ভাঙতে ও পেশির গঠনে সাহায্য করে। তাই কলা এক্ষেত্রে উপকারী খাবার হতে পারে। পটাশিয়াম কিন্তু স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। কলার পাশাপাশি মিষ্টি আলুও খেতে পারেন। রাঙা আলু পটাশিয়ামের ভালো উৎস। এ ছাড়াও এতে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম আছে। সাধারণ আলু ও কুমড়া শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের জোগান দেবে।
৮. শিম ও মটরশুঁটি শরীরে প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়ামের জোগান বাড়াবে। এ ছাড়াও শিমের কালো বীজ খেতে পারেন। এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।