লাইফস্টাইল ডেস্ক : শিরা বা পায়ের পেশিতে টান ধরার সমস্যা খুব সাধারণ মনে হলেও এটি আসলে ততটা সাধারণ নয়। কারণ যতক্ষণ টান ধরে থাকে, ততক্ষণই যন্ত্রণা হতে থাকে। ঘুম থেকে ওঠার সময়, হাঁটার সময়, কখনো কখনো ঘুমের মধ্যে শিরায় টান ধরতে পারে। অনেক সময় হাঁটতে গিয়ে পায়ের আঙুল বেঁকে যেতে পারে। হাতের কিংবা কোমরের পেশীতেও টান ধরে অনেক সময়।
এরপর সেই টান জটিল আকার ধারণ করে। হঠাৎই এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে যে কারও ক্ষেত্রেই। এই ব্যথা দীর্ঘ সময় ধরে থেকে যেতে পারে। এর পেছনের মূল কারণ হলো পানিশূন্যতা। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে শিরায় টান পড়া বেড়ে যায়।
কিছু ঘরোয়া উপায় আছে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকার। যখন-তখন শিরায় টান পড়লে কিছু উপায়ে তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ঘরোয়া উপায় মেনে চলার পর সমস্যা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। এবার জেনে নিন শিরায় টান পড়লে করণীয়-
১) হাত-পা-আঙুল বা কোমরে শিরায় টান পড়লে আক্রান্ত স্থান এবং তার চারপাশে আঙুলের চাপের সাহায্যে ম্যাসাজ করতে থাকুন। এমনভাবে ম্যাসাজ করুন যাতে শক্ত হয়ে যাওয়া পেশী ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে।
২) পায়ের ক্ষেত্রেও একইভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপর আক্রান্ত স্থান কিছুটা স্বাভাবিক হলে অল্পচাপ দিয়ে ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করুন। এ সময় অন্য কোনো ধরনের ব্যায়াম না করাই ভালো। যে পায়ে টান পড়েছে, সেই পায়ের হাঁটু ভেঙে বসুন। অন্য পা পেছনে টান টান করে ছড়িয়ে দিন এবং টান ধরা পায়ের হাঁটুর উপর শরীরের ভর ধীরে ধীরে ছাড়ুন।
৩) থাইয়ের পেশীতে টান লাগলে জায়গাটা নরম করে শক্ত কিছুতে ভর দিয়ে দাঁড়ান। টান ধরা পা কোমর পর্যন্ত টানটান করুন ধীরে ধীরে।
৪) হাঁটাহাঁটি করতে করতে কমতে পারে কোমর ও পায়ের শিরায় টান ধরার সমস্যা। কোমরের সমস্যার ক্ষেত্রে খুব ভালোভাবে ম্যাসাজ করলে ব্যথা দ্রুত কমতে থাকে।
৫) টান ধরা স্থানে হট ওয়াটার ব্যাগ রাখুন। এভাবে ১০ সেকেন্ড রেখে সরিয়ে ফেলুন। এরপর সেখানে দিন বরফের সেঁক। এটিও ১০ সেকেন্ড পর সরিয়ে ফেলুন। আবার ১০ সেকেন্ড গরম পানির সেঁক দিন। এভাবে ১০ সেকেন্ড করে গরম ও ঠান্ডার সেঁক দিন। যতক্ষণ না আরাম পাচ্ছেন, এভাবে সেঁক দিতে থাকুন।
শিরায় টান পড়ার সমস্যা সেরে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে কাজে লেগে পড়বেন না। বিশেষ করে এমন কোনো কাজ করবেন না যেগুলো শিরায় চাপ পড়ার কারণ হতে পারে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তবেই কাজ করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।