পিসিতে এলো সাইলেন্ট হিল ২

sielent hill

জুম-বাংলা ডেস্ক : মনস্তাত্ত্বিক হরর ঘরানায় ‘সাইলেন্ট হিল ২’ একটি মাইলফলক। প্রথম প্রকাশের প্রায় দুই দশক পর গেমটি আধুনিকায়ন করে নতুন করে তৈরি করেছে নির্মাতা ব্লুবার টিম এসএ। প্রকাশক যথারীতি কোনামি। আনুষ্ঠানিকভাবে গেমটির পিসিতে পদার্পণও এবারই প্রথম।

sielent hill

মানসিক আঘাত, নির্যাতন এবং তার সুদূরপ্রসারী প্রভাবকে কেন্দ্র করে সাজানো গেমটি খেলার সময় বারবার একটি কথাই মনে হবে, যা ঘটছে তার সবই কি বাস্তব, নাকি মূল চরিত্র জেমস সাদারল্যান্ডের কল্পনা? যদিও গেমটি প্রথম সাইলেন্ট হিলের সিক্যুয়াল, তার সঙ্গে কাহিনির সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। জেমসের স্ত্রী ম্যারি মারা যাওয়ার তিন বছর পর হঠাৎ হাজির হয় তার লেখা একটি চিঠি। সাইলেন্ট হিল নামের ছোট মফস্বল শহর থেকে সেটি পাঠানো হয়েছে। কিভাবে মৃত্যুর তিন বছর পর চিঠি এলো, সেই রহস্য উদঘাটনে জেমস হাজির হয় সাইলেন্ট হিল টাউনে।

দ্রুত সে বুঝতে পারে, সাইলেন্ট হিল কোনো সাধারণ স্থান নয়, এখানে কোনো ধরনের অতিপ্রাকৃত শক্তি রয়েছে। শহরটিতে আসা সবার মনের গভীরে থাকা উদ্বেগ, ভয় ও শঙ্কাকে বাস্তবে দানব আকারে পরিণত করতে সক্ষম সাইলেন্ট হিল। জেমসের মনের গভীরে থাকা কষ্ট ও অপরাধবোধ পরিণত হয় পিরামিডহেড দানবে। গেমের ঘটনাচক্রে আরো কয়েকটি চরিত্রের সঙ্গে পরিচিত হয় জেমস, প্রত্যেকেই তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া দুঃসহ ঘটনাগুলোর থেকে পালাতে সাইলেন্ট হিলে হাজির হয়েছে।

গেমটির উপসংহার সর্বমোট ছয়টি, এর মধ্যে কোনটি আসল তা প্রকাশক কোনামি কখনোই প্রকাশ করেনি। সাইলেন্ট হিল ২ বরাবরই তার অসাধারণ পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। কুয়াশাভরা শহরটিতে প্রতি পদক্ষেপে রয়েছে ভয়ংকর সব দানবের মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কা। গেমটি থার্ড পারসন শ্যুটার ঘরানার হলেও হাতের অস্ত্রটির জন্য গোলাবারুদ জোগাড় করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। সব দানবকে জেমস পরাস্ত করতে পারবেও না।

গেমপ্লে অ্যাকশন ঘরানার নয়, বরং বলা যায় পাজলভিত্তিক। বন্ধ দরজা খোলার জন্য প্রয়োজনীয় চাবি বের করা বা ধাঁধা সমাধান করা ঘিরেই গেমপ্লের বেশির ভাগ সাজানো। রিমেকটিতে গ্রাফিকসের আধুনিকায়ন হলেও মূল গেমের কুয়াশাভরা পরিবেশ আছে অটুট। দানবগুলোকে করা হয়েছে আরো কদর্য, গেমটিতে তেমন বাগও নেই। তবে বেশ শক্তিশালী পিসি ছাড়া গেমটির মজা পাওয়া যাবে না।

বয়স
শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি। গেমটি কোনোভাবেই ছোটদের জন্য নয়।

ভাষা শেখার সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপ ‘ডুওলিঙ্গো’

খেলতে যা যা লাগবে
অন্তত উইন্ডোজ ১০, কোর আই৭ ৬৭০০কে বা রাইজেন ৫ ৩৬০০ প্রসেসর, ১৬ গিগাবাইট র‌্যাম, জিটিএক্স ১০৭০টিআই বা আরএক্স ৫৭০০ জিপিউ এবং ৫০ গিগাবাইট এসএসডিতে জায়গা।