স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবলের ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড় কে? এমন এক বিতর্কে লম্বা সময় ধরে নাম ছিল পেলে এবং ম্যারাডোনার। যুগে যুগে বেকেনবাওয়ার, ক্রুইফ, গার্ড মুলারদের মত তারকা এলেও পেলে কিংবা ম্যারাডোনার পাশাপাশি নাম বসেনি কারোরই। আধুনিক যুগে সেই কাতারে নাম লেখানোর দৌড়ে উঠে এসেছিল লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নাম।
জীবনের শেষ দিনগুলোতে পেলের কাছে বহুবারই জানতে চাওয়া হয়েছিল নতুন যুগের এই দুই তারকা নিয়ে। পেলের উত্তরে উঠে এসেছিল মেসির নামটাই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি হলেও মেসির প্রতি পেলের ছিল আলাদা টান। সেই টানেই কিনা নিজের জীবনের শেষ ইচ্ছাতেও মেসির সাফল্যই কামনা করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান এই কিংবদন্তি। পেলের ৮৩তম জন্মদিনে নেট জগতে আরও একবার ভাইরাল পুরাতন সেই কথাগুলো।
সময়টা ২০২২ বিশ্বকাপের শেষদিকের। ব্রাজিলের পরাজয় ঘটে ক্রোয়েশিয়ার কাছে। একইসময়ে পেলে জীবন-মৃত্যুর মাঝামাঝি অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। সকলেরই প্রত্যাশা ছিল, অন্তত পেলের জন্য বিশ্বকাপ ঘরে তুলবে ব্রাজিল। কিন্তু সেটা হয়নি ক্রোয়েটদের বিপক্ষে হারে। ব্রাজিলের বিদায়ের পর হাসপাতালের বেডে শুয়ে পেলে চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনার সাফল্য। মেসিকে উল্লেখ করেছিলেন বিশ্বকাপের দাবিদার হিসেবে।
পুরো ঘটনাটি ইন্সটাগ্রামে প্রকাশ করেছিলেন পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো। ইন্সটাগ্রাম পোস্টে লিখেছিলেন, ‘ব্রাজিল যখন ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারে, তখনই আমার বাবার অবস্থা খুব খারাপ। সবাই চেয়েছিল ব্রাজিল আমার বাবার জন্য কাপ জিতুক। তবে আমার বাবা বলতেন, তিনি সুন্দর খেলাটির এই দিকটাকে ভালোবাসতেন। ব্রাজিলের বিদায়ের পর কেউ হাসপাতালে এসে যদি জিজ্ঞেস করতেন, “কী খবর পেলে, এখন কী চাও?” তিনি সরলভাবে উত্তর দিতেন, এটা মেসির প্রাপ্য।’
এমনকি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের খবরটাও পেয়েছিলেন পেলে। উচ্ছ্বসিত ছিলেন মেসির জন্য। সে কথাও যোগ করেছিলেন কেলি নাসিমেন্তো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।