জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের বাজারে মিনিকেট নামে কোনো ধান বা চাল নেই বলে জানিয়েছে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি ব্যবসায়ীদের হুশিয়ার করে বলেন, চালে বস্তায় কেউ মিনিকেট নাম লিখলে তার বিরুদ্ধে নতুন আইনে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবনের কারাদণ্ড হতে পারে।
সোমবার দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এই কথা বলেন।
বিশ্বে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সময় সাত কোটি মানুষকে পান্তার পানি খেয়ে দিন কাটাতে হয়েছে। এখন দেশে মানুষের সংখ্যা ১৭ কোটি পার হয়ে গেলেও খাদ্যর কোনো অভাব নেই, চাল আমদানির প্রয়োজন হয় না।
এসময় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে চাষাবাদ বাড়ানোর তাগিদ দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অনেকবার বলার পরও যারা মিনিকেট নাম দিয়ে চাল বাজারজাত করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন তৈরি হচ্ছে।
সেদিন তিনি বলেছিলেন, প্যাকেটের গায়ে ধানের জাতের নাম লিখতে হবে। চাল বেশি ছাটাই বা পলিশ করা যাবে না।
ওই বছর পাঁচ অক্টোবর মিনিকেট নামে ধানের কোনো জাত নেই উল্লেখ করেন তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, চালের বস্তায় ধানের জাত লেখার জন্য মিল মালিকদের চিঠি দেয়া হয়েছে। এটি না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেদিন তিনি বলেছিলেন, মিনিকেট বলে কিছু বিক্রি করা যাবে না। এখন থেকে মিল থেকে যে চাল বের হবে তার বস্তায় জাত লিখে দিতে হবে। কেউ যদি এটা ব্যত্যয় করে সেক্ষেত্রে আমরা অ্যাকশনে যাবো।
মিনিকেট নামে দেশে কোনো ধানের চাষ না হলেও, বাজার মিনিকেট চালে সয়লাব। অভিযোগ আছে বাজারের জনপ্রিয় এই চাল তৈরি হয়, অন্য চাল ছেঁটে। তবে এমন অভিযোগ বারবার নাকচ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।