লাইফস্টাইল ডেস্ক : লিখতে লিখতে হাত ব্যথা হয়ে যাবে, তারপরও পেন্সিল শেষ হবে না। কেন? কারণ, পরীক্ষা করে দেখা গেছে, একটি পেন্সিল দিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার শব্দ লেখা যায়। আবার পেন্সিল দিয়ে দাগ টেনে একটানা চলে যাওয়া সম্ভব প্রায় ৩৫ মাইল। দেখাই যাচ্ছে, পেন্সিলের অনেক গুণ।
এক হিসেবে দেখে গেছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর ২০০ কোটি পেন্সিল ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশে কতগুলো ব্যবহার হয়, তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্যবহারের পরিমাণ কম নয়। সেটা সব শিক্ষার্থীর হাতে হাতে পেন্সিল দেখে সহজেই অনুমান করা যায়। পেন্সিলেরও আছে রকমভেদ। কোনোটার লিড (Lead) বা শীষ নরম, কোনোটার শক্ত। আবার কোনোটা দিয়ে বেশি কালো টানা যায়, কোনোটায় দেওয়া যায় হালকা দাগ। লেখার সময়ও কোনো কোনো পেন্সিল কাগজে খসখস শব্দ করে। আর কিছু পেন্সিলে লেখা হয় সুন্দর, মসৃণ।
আসলে এসব দোষ-গুণের ভিত্তিতে পেন্সিলকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়। শীষ শক্ত হলে তাকে H (Hard) দিয়ে পেন্সিলের গায়ে দেখানো হয়। কোনো পেন্সিল দিয়ে কত কালো বা ঘন লেখা যাবে, তা প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয় B (Bold) দিয়ে। আবার সেটা কত সুন্দরভাবে লিখবে, তা প্রকাশ করা হয় F (Fine Point) দিয়ে। পেন্সিলের শীষ যত শক্ত হবে, H-এর মাত্রাও বেড়ে 2H, 3H, 4H, 5H ইত্যাদি হবে। আবার এর দাগ যত ঘন হবে B-এর মাত্রাও তেমন বেড়ে হবে 2B, 3B, 4B, 5B। তবে এই H বা B-এর কোনো আদর্শ মান নেই। অর্থাৎ পেন্সিলের শীষ কত শক্ত ও এ দিয়ে কত ঘন লেখা যায়, তার মান সুনির্দিষ্ট নয়। একেক প্রতিষ্ঠান একেকভাবে শীষ বানায়। তবে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের 2H থেকে 3H পেন্সিলের শীষ বেশি শক্ত।
তবে সাধারণভাবে আমরা ব্যবহার করি HB পেন্সিল। এর মানে পেন্সিলের শীষটি শক্ত এবং সেই সঙ্গে যথেষ্ট কালোও বটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।