Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home শরিয়ার চোখে সর্বজনীন পেনশন স্কিম
    লাইফস্টাইল

    শরিয়ার চোখে সর্বজনীন পেনশন স্কিম

    Mynul Islam NadimOctober 29, 20245 Mins Read
    Advertisement

    লাইফস্টাইল ডেস্ক : গত বছরের ১৭ আগস্ট ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম, ২০২৩’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে বাংলাদেশ সরকার। জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টধারী ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব শ্রেণি-পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। স্কিম বিষয়ে কয়েকটি তথ্য হলো—

    islamic

    যাঁদের বয়স ৫০ পেরিয়ে গেছে তাঁরাও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তিনি পেনশন পাবেন টানা ১০ বছর চাঁদা দিয়ে যাওয়ার পর। পেনশনাররা আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে কেউ যদি ৭৫ বছর বয়স পূরণ হওয়ার আগেই মারা যান তাহলে তাঁর নমিনি পেনশনারের বয়স ৭৫ হওয়া পর্যন্ত পেনশন সুবিধা পাবেন।

    মাসিক চাঁদা ছাড়াও কেউ চাইলে তিন মাস পর পর বা বছরে একবার পুরো চাঁদা দিয়ে দিতে পারবেন। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে তার পরের এক মাস পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া চাঁদা পরিশোধ করা যাবে।

    এর পর থেকে প্রতিদিনের জন্য ১ শতাংশ হারে বিলম্ব ফি যুক্ত হবে। পেনশনপ্রত্যাশীদের থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য চারটি ভিন্ন স্কিম গঠন করা হয়েছে। সেগুলোর নাম যথাক্রমে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। প্রতিটি স্কিমেই একজন নাগরিককে সর্বোচ্চ ৪২ বছর এবং সর্বনিম্ন ১০ বছর পেনশনপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন হারে চাঁদা দিতে বলা হয়েছে।

    সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বেশ কিছু নীতি শরিয়তবিরোধী হওয়ার দাবি তুলেছেন ইসলামী অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, এটি একটি সুদভিত্তিক প্রকল্প, কেননা এটি ব্যাংকের ডিপিএসের (ডিপোজিট স্কিম) মতোই। বরং এটি কনভেনশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স থেকে কপি পেস্ট করা। এই প্রকল্পে ইসলামের নিষিদ্ধ রিবা (সুদ), আল-গারার (অনিশ্চয়তাঝুঁকি), আল-মাইসির (জুয়া) ইত্যাদি বিষয় বিদ্যমান।

    রিবা আন-নাসিয়া (মেয়াদি সুদ) ‘রিবা আন-নাসিয়া’ হলো কোরআনে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ একটি সুদ প্রথা।

    নির্দিষ্ট মেয়াদে মুদ্রা (দিনার-দিরহাম) ধার দিয়ে উভয়ের সম্মতিতে অক্তিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করার নাম ‘রিবা আন-নাসিয়া’।
    (আহকামুল কোরআন, জাসসাস : ১/৪৬৫)

    এককথায়, সময়ের কারণে দেনার আসলের অতিরিক্তই হচ্ছে ‘রিবা আন-নাসিয়া’। আর এটি কোরআনের আলোকে নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যা বকেয়া আছে তা ছেড়ে দাও—যদি তোমরা মুমিন হও। যদি তোমরা না ছাড়ো তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। আর যদি তোমরা তাওবা করো, তাহলে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। এতে তোমরা (কারো প্রতি) জুলুম করবে না এবং তোমাদের প্রতিও জুলুম করা হবে না।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৭৮-২৭৯)

    রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সুদ হলো ধারের (মেয়াদি লেনদেন) ক্ষেত্রে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৯৮১) লক্ষণীয় যে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে মেয়াদে অর্থ দিয়ে অতিরিক্ত গ্রহণ করার ব্যবস্থা আছে।

    এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্কিমে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের যে কেউ চাইলে নিজের আদায় করা টাকার ৫০ শতাংশের সমান ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। পরবর্তী ২৪ কিস্তিতে এই ঋণের অর্থ নির্ধারিত ফিসহ ফেরত দিতে হবে। এই ফি আসলে সুদ। আল-গারার, আল-মাইসির

    লেনদেনের ক্ষেত্রে ইসলামের নিষিদ্ধ বিষয়গুলোর মধ্যে দুটি বিষয় হচ্ছে আল-গারার (অনিশ্চয়তাঝুঁকি) ও আল-মাইসির (জুয়া)। পরিভাষায়, ‘যার পরিণাম অস্পষ্ট তা-ই গারার।’ (আল-মাবসুত : ১২/১৯৪)

    আর ‘আল-মাইসির’ জুয়ার অন্য নাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, পূজার বস্তু ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর (জুয়ার তীর) ঘৃণ্য বস্তু (অপবিত্র), শয়তানের কাজ। অতএব এসব থেকে দূরে থাকো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৯০)

    রাসুলুল্লাহ (সা.) লেনদেনে সব ধরনের ‘গারার’ নিষিদ্ধ করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘প্রতারণামূলক ক্রয়-বিক্রয় করতে এবং কাঁকর নিক্ষেপে ক্রয়-বিক্রয় নির্ধারিত করতে রাসুলুল্লাহ (সা.) নিষেধ করেছেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১২৩০, সুনানে আবু দাউদ : ৩৩৭৬)

    ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম, ২০২৩’-এ এই ‘আল-গারার’ ও ‘আল-মাইসির’-এর উপস্থিতির বিষয়টিও স্পষ্ট। কারণ এখানে পেনশনপ্রত্যাশী চাঁদাদাতা সুনিশ্চিতভাবে এ কথা জানেন না যে তাঁর দেওয়া চাঁদার বিপরীতে তিনি বা তাঁর নমিনি কত টাকা ফেরত পাবেন। এখানে ৬০ বছর বয়সের আগে মারা গেলে এক ধরনের প্রাপ্তি, আবার ৬০ বছর বয়সের পর মারা গেলে আরেক ধরনের প্রাপ্তি। স্কিম থেকে এ কথা স্পষ্ট যে একই পরিমাণ চাঁদা প্রদানকারী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বয়সভেদে পেনশন প্রাপ্তির মোট অঙ্কের পরিমাণ বিভিন্ন রকম হবে।

    তা ছাড়া স্কিমের মূলধন কিভাবে খাটানো হবে, কোন খাতে কত ব্যয় হবে—তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। কাজেই এখানে ইসলামে নিষিদ্ধ ‘গারার’ পাওয়া যায়। আর ‘গারার’ লেনদেনকে মাইসির বা জুয়ার দিকে নিয়ে যায়।

    জরিমানার বিধান

    প্রজ্ঞাপনের তথ্য মতে, ‘নির্ধারিত তারিখের মধ্যে চাঁদা জমা করতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী এক মাস পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া চাঁদা প্রদান করা যাবে এবং এক মাস অতিবাহিত হলে পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ১ শতাংশ হারে বিলম্ব ফি জমা প্রদান’ করতে হবে। অথচ শরিয়তের আলোকে যথাসময়ে চাঁদা জমা না দিলে আর্থিক জরিমানা করা জায়েজ নয়। (আল-মুগনি : ১২/৫২৬, আদ্দুররুল মুখতার : ৪/৬১)

    করণীয়

    বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ মুসলমান। তাদের মধ্যে সুদমুক্ত লেনদেনের আগ্রহ প্রবল। তাই ইসলামী ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের আগ্রহ বেশি। এ অবস্থায় সাধারণ স্কিমের পাশাপাশি সুদমুক্ত শরিয়াবান্ধব স্কিম চালু করা দরকার।

    এ ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে—

    ১. একটি চাঁদাবিহীন পেনশন স্কিম চালু করা যেতে পারে, যা জনগণের করের টাকায় রাষ্ট্রীয় বাজেট থেকে অর্থায়ন করা হবে। নির্দিষ্ট বয়সের পর রাষ্ট্রের নাগরিকরা এই সুবিধা পাবেন। যদি সব নাগরিককে চাঁদাবিহীন পেনশন স্কিমের আওতায় নেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে অন্তত নিম্নবিত্ত শ্রেণি এর আওতায় আসতে পারে।

    ২. পেশাগত দিক বিবেচনা করে পূর্বঘোষিত প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ইত্যাদি স্কিমে যুক্ত করা হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট হারে প্রদানকৃত পূর্বনির্ধারিত চাঁদা পেনশন তহবিলে জমা হবে। অতঃপর সরকার ইসলামী ব্যবসারীতি অনুসারে তা কোনো লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করবে। ৬০ বছর পর ব্যক্তি যখন পেনশনপ্রাপ্তির উপযুক্ত হবেন তখন মূলধন হারে বিনিয়োগকৃত অর্থ লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে বুঝে পাবেন।

    ব্যালন ডি’অর নিয়ে অভিযোগের জবাব দিলো ফ্রান্স ফুটবল

    ৩. কোনো মুনাফা ছাড়াও নিজের উপার্জিত অর্থের কিছু অংশ সঞ্চিত রাখার ব্যবস্থা করা যায়। তাঁরা নিজেদের সঞ্চিত অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের পর/নিজেদের প্রয়োজনে এককালীন কিংবা মাসে মাসে উত্তোলন করবেন। সরকার চাইলে এই অর্থ হালাল উপায়ে বিনিয়োগ করতে পারে কিংবা কোনো শরিয়া বোর্ডের আওতায় দিতে পারে। কিংবা শুধু জমানো টাকা গ্রাহকের চাহিদামতো ফেরত দিতে পারে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    চোখে পেনশন লাইফস্টাইল শরিয়ার শরিয়ার চোখে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সর্বজনীন স্কিম
    Related Posts
    Sontan

    ডিভোর্সের পর সন্তানের দায়িত্ব কাকে নিতে হবে?

    July 27, 2025
    MV

    জাহাজের নামের আগে ‘এম ভি’ লেখা থাকে কেন? এর অর্থ কী?

    July 27, 2025
    GF

    ভাড়ায় পাওয়া যাবে প্রেমিকা, খরচও অনেক কম

    July 27, 2025
    সর্বশেষ খবর
    shop

    শিশুটির জন্মের সময় একটি সাবানের সমান ওজন ছিল

    অপটিক্যাল ইলিউশন

    আপনি কেমন মানুষ ছবিটি জুম করলে বলে দেবে

    Aneeth Padda

    যে কারণে নিজের ভ্রু নিজেই উপড়ে ফেলেন ‘সইয়ারা’ ছবির নায়িকা

    Vicky-Tripti

    ভিকি কৌশলের কাছে যা শিখতে চান তৃপ্তি দিমরি

    TVS Apache RTX 300

    ৩০০ সিসির অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল আনছে টিভিএস

    HP Sauce Culinary Heritage:Leading Global Flavor Innovations

    HP Sauce Culinary Heritage:Leading Global Flavor Innovations

    Kajol

    চেহারার পরিবর্তনে শুধু নারীরা নন, পুরুষরাও সার্জারি করেন: কাজল

    Ullu Webseries

    নতুন ঘাম ঝরানো ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না

    Power-Bank

    পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে যেসব সতর্কতা জরুরি

    Sontan

    ডিভোর্সের পর সন্তানের দায়িত্ব কাকে নিতে হবে?

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.