জুমবাংলা ডেস্ক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ২ হাজার ৮০০ ডলারের বেশিতে উন্নীত করতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ। দেশের এই অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলেই আজকে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেকসই ও মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণ বিষয়টি প্রাসঙ্গিকভাবে আলোচনা করছি।
বুধবার রাজধানীর মিরপুরে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ‘অ্যাডভান্সেস ইন সিভিল ইনফ্রাসট্রাকচার অ্যান্ড কন্সট্রাকশন মেটারিয়ালস’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বাংলাদেশসহ আরও ১০টি দেশের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, একটি দেশের উন্নয়নে অবকাঠামগত স্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রাখেন।
তিনি বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা তাদের অর্জিত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেরা যেরকম সমৃদ্ধ হবেন, তেমনি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়াররাও সমৃদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ পুনর্গঠনে নেমে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে ৯৪ ডলার মাথাপিছু আয় থেকে ২৭৭ ডলারে মাথাপিছু জিডিপি উন্নত করেছিলেন। আর সামরিক শাসকরা ২১ বছরে মাত্র ৫২ ডলার জিডিপি প্রবৃদ্ধি করেছিল। এ চিত্র থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে পড়েছিল সামরিক নেতৃত্বের হাতে। ভৌগলিক ছোট আয়তনের ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেমে যাওয়ার ফলে দেশের সমস্যা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়।
মন্ত্রী বলেন, এ রকম একটি কঠিন সময় ১৯৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতা নেন তখন বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৩২৯ ডলার। খাদ্য ঘাটতির দেশকে মাত্র ৫ বছরে তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলেন। সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
প্রফেসর ড. আইনুন নিশাদ এ সময় পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের অবকাঠামোগত বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস ড. আইনুন নিশাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ। এতে মূলবক্তা ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টারবেরির প্রফেসর গ্রেগরি ম্যাকরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।