স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলা বিবেচনা করে যদি বিশ্বকাপ চিন্তা করি, খুবই ভুল হবে বলে জানালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ একেবারেই ভিন্ন জায়গা। ওখানে যত বেশি চাপ সামলাতে পারব, তত ভালো করার সম্ভাবনা। গত বিশ্বকাপে আমরা মোটামুটি পারফর্ম করেছিলাম। খুব ভালো না হলেও কেউ বলবে না খুব একটা খারাপ। ওটা যদি আমাদের বেঞ্চমার্ক হয়, এবারের বিশ্বকাপে সেটি ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ। সেটি করতে হলে প্রথম রাউন্ডে অবশ্যই আমাদের তিনটি ম্যাচ জিততে হবে।
শনিবার (৩ মে) সতীর্থ রুবেল হোসেনের বাইকের শো-রুম উদ্বোধনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অবধারিতভাবে উঠে আসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ, জিম্বাবুয়ে সিরিজসহ নানা বিষয়।
বিশ্বকাপ প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সাকিব আল হাসান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলার আরেকটি বড় কারণ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। বিশেষ করে জায়গাটা সম্পর্কে জানা। আমাদের খুব বেশি খেলোয়াড় নেই, যারা যুক্তরাষ্ট্রে খেলেছে। ফ্লোরিডায় আমাদের অল্প কয়েকজনের খেলার অভিজ্ঞতা আছে (২০১৮ সালে)। (এই সিরিজটি খেলে) কন্ডিশনের সঙ্গে অভ্যস্ত হব আমরা। তবে একই সঙ্গে বলব, অবশ্যই এটা আদর্শ না। আপনি যখন কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলে যাবেন, নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে নিউজিল্যান্ড–পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা খেলে বিশ্বকাপ (২০২২) খেলতে গিয়েছিলাম, স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে গিয়েছিলাম। সে হিসেবে এটা আদর্শ না। তবে এটাই প্রস্তুতি নেওয়ার আমাদের সম্ভাব্য সেরা উপায়।
বিশ্বকাপে টাইগারদের সম্ভাবনা কেমন এ বিষয়ে তিনি বলেন, শেষ সময় আমরা যখন (২০২২) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি আমার কাছে মনে হয় আমরা মোটামুটি একটা পারফরম্যান্স করেছিলাম। যেটা ভালো না হলেও কেউ বলবে না খুব একটা খারাপ। আমি আশা করবো, ঐ জায়গায় (২০২৪) যদি আমাদের বেঞ্চমার্ক থেকে শুরু হয়, এই বিশ্বকাপ আমাদের সেটা ছাড়িয়ে যাবে।’
সেটা যদি যেতে হয় আমাদের অবশ্যই প্রথম রাউন্ডে তিনটা ম্যাচ জিততে হবে। সেটা যদি করতে পারি আমার কাছে মনে হয় এটা মোটামুটি ভালো একটা অর্জন হবে। তারপর ওখান থেকে যদি পরবর্তীতে চিন্তা করি আমার মনে হয় ভালো হবে’— বলেন সাকিব।
বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার বলেন, দেখুন বিপিএলের সময় বিপিএল হবে। আমরা সারাবছর ওয়ানডে সংস্করণটাই খেলি। ওয়ানডে সংস্করণ এই একটা সংস্করণে আমরা জন্মের পর থেকেই কমফোর্ট ফিল করি। সুতরাং আপনি একটার সাথে আরেকটা মেলালে হবে না আপনার জিনিসটা বিবেচনা করতে হবে। যেহেতু টি-টোয়েন্টিতে আমাদের ওরকম কোন খেলাই হয় না একমাত্র বিপিএল ছাড়া। যেখানে বিদেশি ক্রিকেটারদের দাপটটা অনেক বেশি থাকে।
‘স্বাভাবিকভাবে আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটারদের সুযোগ একটু কম হয়। টপ অর্ডারে দেখা যাচ্ছে কোন দলের ব্যাটাররা বিদেশি, কোন দলের প্রধান বোলাররা বিদেশি। তো স্বাভাবিকভাবে ওই জায়গাটাতে আমরা ওইভাবে পারফর্ম করার সুযোগ অনেক সময় পেয়ে উঠি না। খুব কম খেলোয়াড়দেরই এই সুযোগটা থাকে। কিন্তু যদি এখানে হতো ছয়টা দলের ১৫ জন করে ক্রিকেটার ধরেন ৯০ জন। এই ৯০ জন ক্রিকেটারের প্রতিযোগিতামূলক খেলার সুযোগ হতো। আমার কাছে মনে হয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক ছিল।
প্রসঙ্গত, পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সাকিব এখন ব্যস্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। প্রথমবারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সেঞ্চুরির দেখাও পেয়েছেন সাকিব। পাশাপাশি নিজের নির্বাচনী এলাকা মাগুরাতেও দিচ্ছেন সময়। সুপার লিগের শেষ ম্যাচ খেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে তার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।