জুমবাংলা ডেস্ক : দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভারত ছাড়াও পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
দেশের বাজারে প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। এবার পেঁয়াজের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির আইপিও দিয়েছি, এসেছে মাত্র ৩ লাখ টন। এখন ভারত তাদের পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করার জন্য ৪০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে পেঁয়াজের দাম বাড়বে। পেঁয়াজ আনা হয়নি বেশি দাম দিয়ে। কিন্তু এরই মধ্যে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো শুরু করে দিয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না আমরা এটা (বাজার নিয়ন্ত্রণ) কীভাবে করবো। আমরা জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য দুটি পদক্ষেপ নিয়েছি। গ্রীষ্মকালে একটা পেঁয়াজ উৎপাদন করা। গতবার থেকে এটা শুরু হয়েছে। এবার ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ করেছি, সেটা আসবে অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের প্রথম দিকে। নভেম্বরের আগে আমরা নতুন পেঁয়াজ পাবো না। অতীতেও আমরা দেখেছি সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে। ভারতের এ পদক্ষেপের কারণে যদি পেঁয়াজের দাম বাড়ে তাহলে আমরা কীভাবে সামলাবো। এখানে তো আমাদের কোনো হাত নেই।
তিনি বলেন, এটা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের বিকল্প হচ্ছে অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আনা। মিশর, তুরস্ক, চীন থেকে এটা আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে। এটা (পেঁয়াজ আমদানি) প্রত্যক্ষভাবে আমাদের দায়িত্ব নয়। মন্ত্রী হিসেবে আমি দায়িত্ব এড়াতে পারবো না। এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করবে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, বাণিজ্যমন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। এরই মধ্যে আমরা ঘোষণা দিয়েছি- অন্যান্য দেশ থেকে আমরা যাতে পেঁয়াজ আনতে পারি।
ঢাকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে দিল্লি: দ্য হিন্দুঢাকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে দিল্লি: দ্য হিন্দু
এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে কৃষকের ঘরে বেশি পেঁয়াজ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়বে, কিন্তু ওই রকম আকাশচুম্বী হবে না বলে বাজার মনিটরিংয়ে দুর্বলতা রয়েছে কি না, এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, খোলাবাজার অর্থনীতি। কতটা আপনি বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন? এটা-তো রেজিমেন্টেড গভর্নমেন্ট না, রাশিয়া ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সরকার নয়। ইচ্ছা করলেই আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। এটা চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। সরবরাহ বাড়লে দাম করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।