ভারতের ইতিহাসে এমন অনেক নবাব ছিলেন, যাঁদের বিলাসবহুল জীবনযাপন এখনও কিংবদন্তি হয়ে আছে। কিন্তু রামপুরের নবাব হামিদ আলি খান ছিলেন ব্যতিক্রম – তিনি শুধু রাজপ্রাসাদেই নয়, রেলপথেও বিলাসিতা এনেছিলেন।
ব্যক্তিগত রেলস্টেশন থেকে রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত চলত ট্রেন!
নবাব হামিদ আলি খানের রামপুরে ছিল একান্ত ব্যক্তিগত রেলস্টেশন। এ স্টেশন থেকে তাঁর প্রাসাদ পর্যন্ত চলত রাজকীয় ট্রেন। সেই ট্রেন ছিল যেন চলমান একটি রাজপ্রাসাদ।
ট্রেন নাকি প্রাসাদ? রাজকীয় কোচের বিলাসী বিবরণ
নবাবের জন্য ছিল দুটি রাজকীয় রেল কোচ — প্রতিটি কোচে ঝাড়বাতি, খোদাই করা আসবাবপত্র, পার্সিয়ান কার্পেট, এমনকি আলাদা আলাদা নিরামিষ এবং আমিষ রান্নার জন্য পৃথক কিচেনও ছিল!
স্বাধীনতার পর কোচ উপহার দিলেন সরকারকে
১৯৫৪ সালে, ভারত সরকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে নবাব হামিদ আলি খান তাঁর প্রিয় রাজকীয় রেল কোচ দুটি উপহার দেন। এই কোচগুলো ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়।
নবাবের মৃত্যু এবং ব্যক্তিগত রেলস্টেশনের অবসান
১৯৬৬ সালে নবাবের মৃত্যু এবং ভারত সরকার কর্তৃক প্রাইভি পার্স (রাজপরিবারের জন্য আর্থিক ভাতা) বাতিলের ফলে নবাবের ব্যক্তিগত রেলস্টেশনটি ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে এবং একসময় বন্ধ হয়ে যায়।
আজও কিংবদন্তি হয়ে আছেন নবাব হামিদ আলি খান
নবাব হামিদ আলি খানের বিলাসী রেলজীবনের কাহিনি আজও ইতিহাসপ্রেমী মানুষদের বিস্মিত করে। তাঁর ব্যক্তিগত রেলস্টেশন এবং ট্রেন, শুধুই বিলাসিতা নয়, ভারতের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এক অনন্য অধ্যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।