জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হুশিয়ারি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে। দেশের রাজনৈতিক পক্ষগুলোর কেউ কেউ সতর্কবার্তা হিসেবে দেখছে, আবার কেউ কেউ আমলে নিচ্ছে না বিষয়টিকে।
দেশের রাজনীতির সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ।
সেখানে আমরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞার সতর্কতা প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, আমেরিকা হচ্ছে— সুপার পাওয়ার দেশ। বেশি চিন্তার বিষয় হলো— আমেরিকা কতটা কোন দেশের খারাপ চায়? আমেরিকার বিচার হয় না। আমেরিকার প্রভাবে অন্য দেশের কী ক্ষতি হয় সেটা দেখার বিষয়? এটিই আমাদের ভাবিয়ে তোলে। তারা সরাসরি কারও বিচারও করে না।
তিনি আরও বলেন, কে ক্ষমতায় এলো, কে ক্ষমতায় এলো না— এটি তাদের পলিসি নয়; যে ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের চাপে রাখাই হচ্ছে তাদের পলিসি। বিশেষ করে সরকারি দল এবং বিরোধী দল সক্রিয় থাকবে— এটিই তাদের পলিসি।
ভারতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভারত যাই বলুক না কেন, এখন পর্যন্ত আমরিকা যা যা করেছে ভারত সেগুলো কতটুকু চেষ্টা করে থামাতে পেরেছে। পার্থের মত, যথেষ্ট ধ্বংস হয়েছে এ দেশের। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে ঊর্ধ্বমুখী যে ইমেজ ছিল, সেটি সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট হয়েছে। আমি জানি না, এ ক্ষেত্রে ভারত কতটুকু আমাদের উপকারে এসেছে।
পার্থ আরও বলেন, এ পলিসিতেই আমেরিকা এগোতে থাকবে। আমরিকা থামবে না। যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে শত শত দেশ সেটি বাস্তবায়ন করে।
ভিসানীতির বিষয়ে পার্থ বলেন, ভিসানীতি একটা দলের ছোট অংশের ওপর প্রভাব পড়ে। যেমন আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী আছে, যারা বিদেশ যাবে না। যারা মাথার ওপরের দিকে আছে,
তাদের ওপর এটা প্রভাব পড়ে। নিজেদের অর্থাৎ কর্মীদের ওপর এটা পড়ে না। আমি আমরিকার পলিসি নিয়ে চিন্তিত। যতই আমরিকা বলুক— আমরা চাই ভালো নির্বাচন হওয়া বা ওদের উদ্দেশ্যটা নিয়ে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।