জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের রাজস্ব আদায়ের অন্যতম প্রধান খাত চট্টগ্রাম কাস্টমসে এবারও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চট্টগ্রাম কাস্টমসের পেট্রোবাংলা থেকে রাজস্ব বাবদ বকেয়া রয়েছে ৩ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা এবং বিপিসি থেকে বকেয়া রয়েছে প্রায় ১১৬ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টমসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পেট্রোবাংলা এবং বিপিসি থেকে রাজস্ব পাওয়া গেলে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃক লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৯৮ ভাগ অর্জন সম্ভব ছিল। সমাপ্ত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫৯ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য গেল অর্থবছরে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, সমাপ্ত অর্থবছরে আমদানি অনেক কম হলেও সার্বিক পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায় সন্তোষজনক। তিনি বলেন, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি থেকে রাজস্ব পাওয়া গেলে এবার বিগত অর্থবছরের (২০২০-২০২১) তুলনায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি চট্টগ্রাম কাস্টমস আয় দেখাতে পারতো।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, কিছু কিছু পণ্য আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস দিয়ে খালাস করা হতো। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঐ পণ্য মোংলা বা ঢাকা আইসিডির মাধ্যমে খালাস হচ্ছে। এমনকি চট্টগ্রামের আমদানিকারকরা ঐ সব শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য খালাস নিয়ে আবার চট্টগ্রামে নিয়ে আসছেন। এই সব পণ্যের মধ্যে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে অব্যাহতভাবে মোংলা বন্দর দিয়ে বেশি পরিমাণ গাড়ি খালাস হচ্ছে। মোংলা দিয়ে গাড়ি খালাস প্রতি বছর ২০ শতাংশ বাড়ছে। চট্টগ্রামে পোর্ট চার্জ অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় এবং চট্টগ্রাম কাস্টমসে পণ্য খালাসে কিছুটা কড়াকড়ি মনোভাব দেখানোর কারণে গাড়ি চট্টগ্রামে খালাস কমে গেছে বলে জানা যায়। একই ভাবে আরো কয়েকটি পণ্যের ক্ষেত্রেও চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে ব্যবসায়ীরা সরে আসছে বলেও সূত্রে জানা যায়। বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম কাস্টমসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যেন, সকল পণ্য সকল শুল্ক স্টেশনে একই নিয়মে মূল্যায়ন করা হউক।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের এক কর্মকর্তা জানান, আমদানিকারকগণ শুল্ক কম দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাবে। যেখানে বেশি সুবিধা পাবে সেখানেই যাবে। আবার কতিপয় কর্মকর্তা কর্তৃক পণ্যের পরীক্ষার নামে আমদানিকারকের হয়রানি এবং অতিরিক্ত সময় পণ্য বন্দরে পড়ে থাকার ফলে ডেমারেজ চার্জের পরিমাণও বেড়ে যায়। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে আমদানি পণ্যের চেয়ে ডেমারেজ চার্জ বেশি দাঁড়িয়েছে।
ফলে আমদানিকারক পণ্য খালাস না করে বন্দরে ফেলে রাখে। তাছাড়া শুল্ক বিরোধে পড়ে উচ্চ আদালতে মামলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পণ্য খালাস হয় না। চট্টগ্রাম বন্দরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মামলার কারণে দীর্ঘ ১০ বছর থেকে ২০ বছরের পুরনো মালামালও পড়ে আছে। আমদানিকারকদের অনেকের অভিযোগ কতিপয় কর্মকর্তার অহেতুক ও উদ্দেশ্যমূলক হয়রানির কারণে তারা অন্যত্র পণ্য খালাসে নিয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।