Phising Attack কী? এ প্রতারণা কৌশল কীভাবে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে?

Phising Attack

বর্তমানে Phising আক্রমণের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাহকের নানা ধরনের অনলাইন একাউন্ট ব্যবহারে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে বিশেষ করে ইমেইলে আপনার কাছে মেসেজ পাঠাবে; যদিও বাস্তবে সেটা ভাইরাস বা ট্রোজানের মত ম্যালেসিয়াস প্রোগ্রাম হতে পারে। তারা হ্যাকিং করে আপনার ক্রেডিট কার্ড ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। একে বলে Phising অ্যাটাক।

Phising Attack

যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান Phising অ্যাটাক করে তাদেরকে আপনার বৈধ কোম্পানি মনে হবে। যদিও বাস্তবে তারা আপনার সাথে প্রতারণা করছে। তারা কীভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে স্ক্যামিং করে সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে।

এ প্রতারক চক্র ভুয়া ব্যাংক একাউন্ট বা পেপাল একাউন্ট খুলে সেখানে আপনাকে রেজিস্ট্রার করানোর চেষ্টা করবে। এরপর আপনার লগইন ইনফরমেশন নিয়ে তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করবে।

যখন কোন  প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য করে তখন সে যেন আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে এ উদ্দেশ্য সামনে রেখে ব্যবসায় যোগ দেয়। যারা বৈধভাবে ব্যবসা করে না তারাও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার বিষয়টি দেখে। যেসব প্রতারক চক্র Phising এটাক করে তারা ওই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের রিসার্চ সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয়। এতে করে তার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

করোনা মহামারির সময় মানুষ Phising আক্রমণের শিকার সব থেকে বেশি হয়েছে । এ সময় হোম অফিস আইডিয়ার পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটে। মানুষ ইন্টারনেটে অনেক বেশি সময় দিতে থাকে। যারা Phising অ্যাটাক করে থাকে তারা এ সুযোগে অনেক মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়।

Phising অ্যাটাক পরিচালনাকারী চক্র গ্রাহকের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য বিভিন্ন ও অনলাইন একাউন্টের আইডি এবং পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করার চেষ্টা করে।

করানোর সময় একটি গবেষণায় গুগল জানায় যে প্রত্যেক দিন তারা ১৮ মিলিয়ন মেসেজ শনাক্ত করতে সক্ষম হয় যারা Phising অ্যাটাকের উদ্দেশ্য নিয়ে গুগলের গ্রাহকদের মেসেজ দিয়েছিল। এর অধিকাংশই ছিল Phising ইমেইল মেসেজ।

এসব স্ক্যামার আপনার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। আপনাকে লিংক দিয়ে সেখানে ক্লিক করে ফাইল ডাউনলোড করানোর চেষ্টা করবে। আপনার উচিত হবে এসব লিংকে ক্লিক না করা ও সাবধান হওয়া।