লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিলাসিতার জায়গা থেকে স্মার্টফোন এখন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গে পরিণত হয়েছে। যাঁর কাছে এখন স্মার্টফোন নেই, এই দুনিয়ার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগও নেই। সেই একটাই কারণে মানুষজন সব সময় নিজেদের সঙ্গে ফোনটা রেখে দেন। কেউ কেউ আবার অভ্যাসের বশে কোনও কারণ ছাড়াই দিনরাত স্মার্টফোন স্ক্রল করে চলেছেন।
স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অত্যন্ত জরুরি একটা গ্যাজেট হয়ে উঠেছে ঠিকই, কিন্তু স্মার্টফোনের কারণে আমাদের জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই তো। আছে, অনেকটাই আছে। সারা দিন ফোনে চোখ রেখে আমরা চোখের বারোটা বাজাচ্ছি। দীর্ঘক্ষণ কানে ফোন রেখে কথা বলে আমরা কানেরও দফারফা করছি। শুধুই কী চোখ বা কান, স্মার্টফোন যে আরও কত দিক থেকে আমাদের শরীরের ক্ষতি করছে, তার কোনও ইয়ত্তা নেই।
আচ্ছা, আপনি কি স্মার্টফোন প্যান্টের পকেটে রেখে ঘোরাফেরা করেন? কোন পকেটে রাখেন? যে পকেটে ফোন রাখেন, সেখান থেকে আপনার শরীরের বড়সড় কোনও ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো? স্মার্টফোন কোন পকেটে রাখা উচিত, সেই বিষয়টাও জরুরি। এখন আমরা স্মার্টফোন ছাড়া এক সেকেন্ডও ভাবতে পারি না। আমাদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে চাকরি-জীবন সবেতেই এর ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। কোনও মানুষ স্মার্টফোন ছেড়ে বেশিক্ষণ দূরে থাকতে পারেন না।
অনর্গল মেসেজ এসেই চলেছে, পাল্লা দিয়ে ফোনও এসে যায় একের পর এক। তার কিছু দরকারি তো বটেই, কিছু আবার বন্ধুবান্ধব বা কাছের মানুষের সঙ্গে এক্কেবারে খোশগল্পের কল। সেই ফোন যখন আমাদের জীবনে আজ এতটা প্রয়োজনীয়, তার যথাযথ ব্যবহারটাও আমাদের জেনে রাখা উচিত। যাতে ফোনের কারণে আমাদের শরীর না খারাপ হয়ে যায়।
ফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এতটাই জরুরি হয়ে গিয়েছে যে, অনেকে এটি নিয়ে বাথরুমে পর্যন্ত যান। আর সঙ্গে রাখলে সচরাচর ফোনটা সকলে পকেটেই ঢুকিয়ে রাখেন। বিশেষ করে পুরুষরা তো তাঁদের ফোন পকেটেই রাখেন। কখনও-কখনও আবার এমনও দেখা যায় যে, পুরুষরা বাড়িতে থাকার সময়ও তাঁদের পকেটে ফোন নিয়ে ঘোরাফেরা করছেন। আর বাইরে বের হলেতো কথাই নেই । কিন্তু অনেকেই এটা জানেন না যে, পকেটে ফোন রাখা কতটা বিপজ্জনক।
পকেটে ফোন রাখলে কী সমস্যা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যখন ফোনটা পকেটে রাখছেন এবং তার সঙ্গে কোনও ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক কানেক্ট করছেন, তখন আপনার শরীরের রেডিয়েশন ২ থেকে ৭ গুণ হয়ে যায়। nআর এই রেডিয়েশনই আপনার জীবনে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ডেকে আনতে পারে। আপনি জানলে হয়তো এবাক হবেন যে, এই রেডিয়েশন বা বিকিরণ আপনার (ডিএনএ)-এরন DNA-র গঠনগত পরিবর্তন করতে পারে। এর কারণে পুরুষত্বহীনতার আশঙ্কা থাকে এবং হার্টের রোগও দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরও দাবি করছেন যে, আপনি যদি আপনার প্যান্টের পকেটে ফোন রাখেন, তাহলে তার বিকিরণ আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়, বিশেষ করে নিতম্বের হাড় দুর্বল করে দিতে পারে।
তাহলে কোথায় রাখবেন স্মার্টফোন?
স্মার্টফোন কি তাহলে পকেটে রাখা উচিত নয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোন পকেটে রাখা যেতে পারে। কিন্তু প্যান্টের ডান বা বাম পকেটে রাখলে তা থেকে আপনার নিতম্বের হাড় যেমন দুর্বল হতে পারে, তেমনই আবার পুরুষত্বহীনতার সমস্যায় ভুগতে পারেন আপনি। তাই, তাঁরা পরামর্শ দিচ্ছেন ফোনটিকে প্যান্টের পিছনের পকেটে রাখতে। তবে সবথেকে ভাল আপনি যদি স্মার্টফোন ব্যাগে রাখেন।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা পকেটে ফোন রাখার ব্যাপারে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাথায় রাখতে বলছেন। তাঁদের পরামর্শ, ফোন পকেটে রাখার সময় তার পিছন অংশটা যেন উপরের দিকে থাকে। তার ফলে আপনার শরীর ন্যূনতম রেডিয়েশনের সংস্পর্শে আসে। তাই হেলা-ফেলা না করে বিশেষজ্ঞদের এসব মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে মেনে চলাই শ্রেয়। নতুবা গুটি গুটি করে আপনার শরীরে কোন রোগ ফোনের কারনে বাসা বেঁধে আপনার জীবন নাশের কারণ হবে তা কেউ জানে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।