আইফোন হোক বা অ্যান্ড্রয়েড সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ফোনেরই ব্যাটারির স্থায়িত্ব কমে আসে। প্রধান কারণ ভারী অ্যাপ ব্যবহার নয় বরং ব্যাটারি ডিগ্রেডেশন, যা প্রতিটি চার্জ সাইকেলের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই ঘটে।
প্রযুক্তি সাইট ‘টমস গাইড’ লিখেছে, কিছু সাধারণ চার্জিং অভ্যাস বদলালেই ব্যাটারির আয়ু উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে অভ্যাসগুলো।
১. চার্জ রাখুন ২০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে
ব্যাটারির জন্য এটি হলো সবচেয়ে নিরাপদ সীমা। সবসময় ১০০ পর্যন্ত চার্জ দেওয়া বা পুরোপুরি ফাঁকা করে নেওয়া ব্যাটারির ওপর চাপ বাড়ায়। তাই প্রায় ২০ শতাংশে পৌঁছালে চার্জ দিন এবং ৮০ শাতংশে উঠলে খুলে ফেলুন। এতে পুরো চার্জ সাইকেল কম ব্যবহার হবে এবং ব্যাটারির আয়ু বাড়বে।
২. চার্জ দেওয়ার সময় ফোন ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
চার্জ দেওয়ার সময় ভারী ব্যবহার ফোনকে গরম করে ফেলে আর তাপ হলো ব্যাটারির সবচেয়ে বড় শত্রু। গরমে ব্যাটারির ভেতরের রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্রুত হয় ফলে সক্ষমতা দ্রুত কমে যায়। চার্জের সময় সম্ভব হলে ফোন ব্যবহার না করাই ভালো। দরকার হলে হালকা কাজ করুন যেমন কিছু পড়া বা মেসেজ করা।
৩. ব্যাটারি সেভার মোড ব্যবহার করুন
প্রায় সব স্মার্টফোনেই ব্যাটারি সেভার বা লো পাওয়ার মোড থাকে। এটি ব্যাকগ্রাউন্ডের কাজ কমিয়ে এনে অপ্রয়োজনীয় প্রসেস বন্ধ করে এবং ডেটা সিংকিং সীমিত করে। ফোনে চার্জ কমে এলে বা দীর্ঘ সময় চার্জার থেকে দূরে থাকতে হলে এই মোড চালু করুন। এতে বর্তমান চার্জও দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ব্যাটারির ওপর চাপ কমে।
৪. সফটওয়্যার আপডেট রাখুন
সিস্টেম আপডেট ব্যাটারির পারফম্যান্স উন্নত করে। নতুন আপডেটে সাধারণত শক্তি সাশ্রয়ী ফিচার, বাগ ফিক্স এবং উন্নত এনার্জি ম্যানেজমেন্ট থাকে। তাই নিয়মিত আপডেট করলে ব্যাটারির ব্যবহার আরও ভালো হয়।
৫. চার্জ সাইকেল বুঝে নিন
ব্যাটারিকে ভাবুন নির্দিষ্ট সংখ্যক ‘জীবন’ বা ব্যবহার হিসেবে। প্রতিবার যখন পুরো শতভাগ চার্জ শেষ করেন তখন একটি সাইকেল সম্পন্ন হয়। তবে একবারে না করলেও হয় আজ ৫০ শতাংশ ব্যবহার করে কাল আবার ৫০শতাংশ ব্যবহার করলে সেটিও একটি পূর্ণ সাইকেল ধরা হয়। তাই ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত করতে পুরোপুরি শেষ করে চার্জ দেওয়ার চেয়ে ঘন ঘন কম সময় চার্জ দেওয়া বেশি উপকারী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।