জুমবাংলা ডেস্ক : অনেকেই ফেসবুক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে অপরিচিত কারো মেসেজ পেতে অভ্যস্ত। কিন্তু যখন এটি একটি মেয়ের সুদর্শন ছবি সমৃদ্ধ প্রোফাইল থেকে আসে এবং সহস্রওয়ে ব্যক্তিগত আলাপচারীতায় পরিণত হয়, তখন মনের অজান্তেই অনেকেই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন। সম্প্রতি, এমনই একটি প্রতারণামূলক পরিকল্পনা ‘পিগ বুচারিং’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে যা প্রতিটি দিন বাদে বহু মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এই প্রতারণায় প্রথমে অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং একপর্যায়ে ঘনিষ্ঠতার ধোঁয়া দিয়ে টেনে নিয়ে যায়। তারপর সহজেই বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবহারকারীকে একটি নির্দিষ্ট লিংকে ক্লিক করতে বলা হয়। এ ধরণের লিংক থেকে প্রতারকরা ব্যবহারকারীর মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ বা ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে বা তারা নগদ অর্থ নিয়েও চম্পট দিতে পারে।
‘পিগ বুচারিং’ প্রতারণায় মূল লক্ষ্য
পিগ বুচারিং মূলত বেশিরভাগ সময় উৎসাহী ও অনভিজ্ঞদের লক্ষ্যবস্তু করে থাকে। বিশেষ করে, সমাজের নতুন প্রজন্ম, বেকার যুবক-যুবতী এবং আর্থিক কষ্টে থাকা ব্যক্তিরা সহজেই এর শিকার হন। যেমনটা জানা যায়, প্রতারকরা বেশিরভাগ সময় সমাজের এসব শ্রেণির মানুষদের সোশ্যাল মিডিয়ায় খুঁজে ঢোকে এবং ধীরে ধীরে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়। এক পর্যায়ে তাদেরকে অর্থ লগ্নির প্রস্তাব দিয়ে নিজেদের ফাঁদে ফেলে।
অনেকে মনে করেন, যদি অপরিচিত লিংকের মাধ্যমে তাদের সুযোগ আসে তাহলেও এটা একটি বিচ্ছিন্ন সমস্যা। কিন্তু বাস্তবে, এই সমস্যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং প্রকৃত অর্থ হারানোর হতাশা তৈরির পাশাপাশি মানসিক বিপর্যয়েরও কারণ হচ্ছে।
শুধু সঠিক জায়গায় বিনিয়োগের প্রলোভন নয়, এই প্রতারণাকারীদের টার্গেট প্ল্যাটফর্মগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে; যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি। এই গ্রুপগুলোতে প্রবেশ করার পর তাদের লক্ষ্য থাকে সেখানকার ব্যবহারকারীকে কিছু কৌশল ব্যবহার করে প্রতারিত করা।
প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়ার সঠিক উপায়
প্রতারকদের দৃষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচাতে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা আবশ্যক। বিষেশজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী, সচেতন থাকাই এসব সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম পন্থা। ইন্টারনেটে অজানা লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। এছাড়া, যখনই কোনো অজানা সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাৎক্ষণিক ওই গ্রুপ ছেড়ে দেয়া বুদ্ধিমানের পরিচায়দ হিসেবে বিবেচিত হবে।
কোনও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত লেনদেনের প্রস্তাব দেয়া হলে সেখানে সচেতনতা অবলম্বন করা দরকার। কোনও ব্যক্তি যখন আপনাকে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছে, তখন তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা যুক্তিযুক্ত হবে। এমনকি, যদি কোনও সংস্থা এরকম প্রস্তাব দেয়, তবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কিংবা সংস্থার ই-মেইল ঠিকানায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হতে পারে সর্বোত্তম পদক্ষেপ।
সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কাছে যেমন Harvard এরকম প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ ও বিনিয়োগের বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেখে নেয়াও যেতে পারে।
FAQs
১. পিগ বুচারিং কী?
পিগ বুচারিং হলো একটি সাইবার প্রতারণা পদ্ধতি যেখানে অপরিচিত ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব করে তাকে বিনিয়োগের ফাঁদে ফেলা হয়।
২. কোন প্ল্যাটফর্মে পিগ বুচারিং বেশি ঘটে?
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, এবং টেলিগ্রাম মতো প্ল্যাটফর্মে এই সক্রিয়তা বেশি দেখা যায়।
৩. কিভাবে পিগ বুচারিং প্রতারণা থেকে রক্ষা পাবো?
সচেতন থাকাই সেরা উপায়। অজানা মেসেজের বা লিংকের প্রলোভনে পড়বেন না।
৪. কারা সাধারণত এই প্রতারণার শিকার হয়?
বেকার যুবক-যুবতী, আর্থিক কষ্টে থাকা ব্যক্তি এবং অনভিজ্ঞরা সাধারণত এসব ফাঁদে পা দিয়ে থাকেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।