প্রাচীনকালে চিঠি পাঠানোর জন্য কবুতরকেই কেন বেছে নেওয়া হয়েছিল?

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আপনি নিশ্চয়ই অনেক মুভিতে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে দেখেছেন। কবুতরের মাধ্যমে চিঠি বা বার্তা পাঠানোর বিষয়টি শুধু চলচ্চিত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, প্রাচীনকালে চিঠি পাঠানোর ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। এখন চিঠির পরিবর্তে মেসেজ ও কল সহজেই অন্যদের কাছে পৌঁছে যায় এবং কবুতরের পরিবর্তে স্মার্টফোন এখন এই কাজটি করছে।

কবুতরকে চিঠি

কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবেছেন প্রাচীনকালে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য এত পাখির মধ্যে শুধুমাত্র কবুতরকেই কেন বেছে নেওয়া হয়েছিল। আসলে কবুতরের একটি বিশেষ গুণ আছে। তারা পথটি খুব ভালোভাবে মনে রাখে এবং কখনো পথ ভুলে যায় না। এটি একটি বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত হয়েছে। এখন কি তারা যদি কোন পথ একবারও যায়, তবুও তা ভুলে যায় না।

কবুতর কখনোই পথ ভুলে যায় না কারণ এদের শরীরে একটি বিশেষ ধরনের সিস্টেম রয়েছে, যা জিপিএস এর মত কাজ করে। এই জিপিএস সিস্টেমের উপস্থিতির কারণেই কবুতর কখনো তার পথ হারায় না। এমনকি নতুন পথ খুঁজে বের করতে তারা এই দক্ষতা ব্যবহার করে।

মিডিয়ার সূত্রে জানা গেছে, অনেক গবেষক বলেছেন যে কবুতরের শরীরে ৫৩ ধরনের বিশেষ কোষের একটি অংশ পাওয়া যায়, যা কবুতরকে চিনতে সাহায্য করে। মানুষের মত পায়রাও তাদের দিকে তাকিয়ে সহজে দিকনির্দেশ এবং জিনিসগুলিকে চিনতে পারে।

টানা ১ বছর মাংস খাওয়া ছেড়ে দিলে যা ঘটবে আপনার শরীরে

এর পাশাপাশি কবুতরের চোখের রেটিনায় এক ধরনের বিশেষ প্রোটিন পাওয়া যায়, যে কারণে তারা সহজে দিকনির্দেশ এবং জিনিসগুলোকে চিনতে পারে। এই কারণেই প্রাচীনকালে বার্তা বা চিঠি পাঠানোর জন্য কবুতর ছাড়া অন্য কোন পাখি ব্যবহার করা হতো না। যদিও গত কয়েক দশক ধরে কবুতরের মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর প্রচলন শেষ হয়ে গেছে, কারণ এখন প্রত্যেকেরই হাতে মোবাইল ফোন রয়েছে।