Pin-tailed Whydah পাখিটি আকারে বেশ ছোট এবং দেখতে বেশ সুন্দর। এ প্রজাতির পাখি মূলত আফ্রিকায় দেখতে পাওয়া যায়। এটি মূলত ফিঞ্চ পরিবারের অংশ। অত্যাশ্চর্য চেহারা এবং আকর্ষণীয় আচরণের জন্য Pin-tailed Whydah যথেষ্ট সুপরিচিত।
পুরুষ পাখিটির কালো রঙের মাথা ও ঘাড় রয়েছে। পেটের দিকে আপনি সাদা রং দেখতে পাবেন। এ পাখির সবচেয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো এটির লম্বা লেজ এবং পাতলা পালক।
অনেক সময় তাদের লেজের সাইজ দেহের দৈর্ঘ্যের দ্বিগুণ পর্যন্ত হতে পারে। পাখিটির লেজ-পালক দেখতে বেশ প্রাণবন্ত এবং লালচে বাদামী রঙের হয়ে থাকে। বিপরীত জেন্ডার এর পাখিকে আকর্ষণের জন্য পুরুষ তাদের লেজের পালক ব্যবহার করে থাকে।
তবে নারী জেন্ডারের পাখির তেমন উল্লেখযোগ্য কোন বৈশিষ্ট্য নেই। নারী পাখিটির দেহের রং বাদামী রঙের হয়ে থাকে। সাভানা, তৃণভূমি এবং বিস্তৃত জলাভূমি এ প্রজাতির পাখির আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সব সাহারান আফ্রিকার স্থানীয় পাখি হচ্ছে Pin-tailed Whydah। এমনকি শহর অঞ্চলের উদ্যান এবং পার্কগুলোতে এ পাখি দেখতে পাওয়া সম্ভব। এ প্রজাতির পাখি যথেষ্ট সামাজিকতা বজায় রেখে চলে।
প্রজনন মৌসুমের সময়ে পুরুষ পাখিটি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। প্রায় সময় নিজের প্রজনন অঞ্চল রক্ষা করার জন্য এটি অন্যদের আক্রমণও করতে পারে। সঙ্গমের সময় এটির আচরণ পাখিটির একটি উল্লেখযোগ্য আকর্ষণের দিক।
স্ত্রী পাখিকে মুগ্ধ করার জন্য পুরুষ পাখিটি তাদের লেজ পালক ব্যবহার করে নানা অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করতে থাকে। বিপরীত জেন্ডার এর পাখিটি মুগ্ধ হলে পুরুষ পাখিদের সঙ্গে মিলিত হয়।
Pin-tailed Whydah পাখিকে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তবে শহর অঞ্চলে এদের আবাসস্থলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে এ পাখির সঙ্গম আচরণ এবং প্রজনন কৌশল বেশ অদ্ভুত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।