Advertisement
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় নিজের সম্পত্তি যাকে খুশি তাকে দিতে পারেন। তবে সেটা করতে হবে বৈধ ও সঠিক পদ্ধতিতে।
চলুন বিষয়টি ভাগ করে দেখি:
১) যদি মৃত্যুর আগে সম্পত্তি ওসিয়ত করা হয়:
- মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে মৃত্যুর আগে সর্বোচ্চ ১/৩ অংশ ওসিয়ত করা যায়।
- ১/৩ এর বেশি অংশ অন্য উত্তরাধিকারীদের অনুমতি ছাড়া ওসিয়ত করলে, তা বৈধ নয়।
- বঞ্চিত সন্তানরা আদালতে চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের অংশ ফিরিয়ে আনতে পারেন।
২) যদি সাদা কাগজ বা নন-রেজিস্টার্ড দলিল হয়:
- সাদা কাগজ, সাধারণ নোটারী, স্ট্যাম্প বা অরেজিস্টার্ড কোনো দলিল কোনো মালিকানা তৈরি করে না।
- এসবের ভিত্তিতে মালিকানা দাবি করলে বাকি ওয়ারিশরা সহজেই মামলা করে বাতিল করতে পারেন।
৩) জরিপ (খতিয়ান) বা রেকর্ডে নাম তোলা:
- জরিপে নাম থাকলেই মালিক হওয়া যায় না।
- এটি শুধু প্রাইমাফেসি প্রমাণ।
- অন্য ওয়ারিশরা চাইলে বাটোয়ারা মামলা করে নিজেদের অংশ পেতে পারেন।
৪) যদি হেবা বা সাবকবলা (বিক্রয়) রেজিস্ট্রি করা হয়:
- পিতা জীবদ্দশায় রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে যদি হেবা বা বিক্রয় করেন, সেটা পূর্ণ বৈধ।
- এ ক্ষেত্রে বাকি সন্তানেরা আইনগতভাবে বাধা দিতে পারবেন না।
বঞ্চিত সন্তানের করণীয় ধাপে ধাপে:
১. ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ করুন।
২. সব ওয়ারিশের নাম থাকতে হবে।
৩. একজন দক্ষ সিভিল লইয়ারের সাথে পরামর্শ করুন।
4. বাটোয়ারা মামলা দায়ের করুন।
৫. রায়ের ভিত্তিতে নামজারি ও রেকর্ড সংশোধন করুন।
২৫ হাজার টাকায় সেরা ১০ ফোন: লং ব্যাটারির সেরা স্মার্টফোন তালিকা
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
- সম্পত্তি বণ্টনের আগে বা পরের কোনো কাজ করার আগে অবশ্যই একজন আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
- ভুল তথ্য বা অরেজিস্টার্ড কাগজপত্রের ওপর ভরসা করবেন না।
- কোনো চাপ বা প্রতারণার শিকার হলে শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।