আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রসহ সারাবিশ্বে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান পিৎজা হাটে নতুন আকর্ষণ সাপের মাংসের তৈরি পিৎজা। হংকংয়ের শতবর্ষী একটি রেস্টুরেন্টের সঙ্গে মিলে ঐতিহ্যবাহী খাবারে আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ সংস্থা সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনব এই পিৎজায় থাকবে কুচি কুচি করে কাটা সাপের মাংস, কালো মাশরুম ও চীনে আড়াই শত বছরের ঐতিহ্য শূকরের পেছনের পায়ের শুকনো মাংস। সাপের মাংস সেদ্ধ করার পর স্টু নামের যে ঘন তরল পাওয়া যায় তাও ব্যবহার করা হয়েছে নতুন এই পিৎজায়। ইতোমধ্যে নতুন এই খাবার ভোজনরসিকসহ অনলাইনে হইচই ফেলে দিয়েছে।
সাপের স্টু হংকংসহ চীনের দক্ষিণাঞ্চলে খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। বিশেষ করে শীতের সময় এই খাবারের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। শরতের শুরুতে সাপের মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়। কারণ ওই সময় শীতনিন্দ্রার প্রস্তুতি নেওয়ার অংশ হিসেবে অনেকটা চর্বিযুক্ত হয় সাপ। চীনে প্রচলিত ধারণা রয়েছে, সাপের মাংসে কিছু ভেষজ গুণ রয়েছে। তাদের ধারণা সাপ খেলে মানুষের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং শরীর গরম থাকে।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও সাপের মাংস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। যেমন ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডেও সাপের মাংস জনপ্রিয়। এমনকি শুধুমাত্র খাওয়ার জন্যই এসব দেশে সাপের চাষ করা হয়। গত সপ্তাহে বাজারে আসে সাপের মাংস দিয়ে তৈরি এই পিৎজা। এর আগে এক বিবৃতিতে পিৎজা হাট হংকং জানিয়েছিল, পনির আর মুরগির মাংসের সঙ্গে সাপের মাংসের স্বাদই অসাধারণ।
সাপের মাংস দিয়ে তৈরি পিৎজা খেলে শরীরে ‘রক্ত সঞ্চালন’ বাড়তে পারে বলেও দাবি করা হয় ওই বিবৃতিতে। চীনের প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবস্থায় মনে করা হয়, সাপের মাংস খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। মধ্যাঞ্চলীয় হংকংয়ের একটি রেস্টুরেন্ট সের ওয়াং ফুনের সঙ্গে যৌথভাবে এই পিজ্জা বানিয়েছে পিৎজা হাট। সের ওয়াং ফুন রেস্টুরেন্ট ১৮৯৫ সাল থেকে সাপের মাংসের স্টু তৈরি করে আসছে।
৯ ইঞ্চি পরিধির এই পিৎজায় প্রচলিত টমেটো সসের পরিবর্তে ঝিনুকের সস ব্যবহার করা হয়েছে। আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত এই পিৎজা বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে। সিএনএনের প্রতিবেদক দেখেছেন, পিৎজায় ব্যবহৃত সাপের মাংস দেখতে অনেকটা মুরগির শুকনো মাংসের মতো দেখাচ্ছে। এবং এর স্বাদ অনেকটা সামুদ্রিক মাছের মতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।